করোনার অতিমারি ক্রমেই সরে যেতে চলেছে, এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু দেশে করোনার প্রতিষেধক এসে গিয়েছে এবং স্টেডিয়ামে দর্শকদের প্রবেশে সম্মতিও জানিয়েছে। কিন্তু আবারও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মেঘ ঘনিয়ে আসছে। আর এর জেরে গুরুত্বপূর্ণ চতুর্থ ম্যাচটিতে অশনি সংকেত পড়ে গেল।
অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে খেলা পাঁচটি টি টোয়েন্টির চতুর্থ টি টোয়েন্টি ম্যাচটি এখন অকল্যান্ডের পরিবর্তে ওয়েলিংটনে খেলা হবে। নিউজিল্যান্ডের শহর অকল্যান্ডে করোনার ভাইরাসের একটি সক্রিয় কেস পাওয়ার পরে সাত দিনের লকডাউন চাপানো হয়েছে। এর পাশাপাশি তৃতীয় ও চতুর্থ টি টোয়েন্টি ম্যাচগুলি দর্শকদের ছাড়াই বন্ধ স্টেডিয়ামে খেলা হবে। তারা এ পর্যন্ত খেলেছে দুটি ম্যাচ, আর সেই দুটি ম্যাচেই নিউজিল্যান্ড দুর্দান্তভাবে জিতেছে।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অর্ডা করোনা ভাইরাসের একটি নতুন ঘটনা সামনে আসার পরে দেশের বৃহত্তম এই শহরে লকডাউন ঘোষণা করেছে। এই নিয়ে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড এক বিবৃতিতে বলেছে, “বুধবার ওয়েলিংটনে ম্যাচ পরিকল্পনা অনুসারে খেলা হবে, তবে সেটি হবে দর্শকদের ছাড়াই।” নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট আরও জানিয়েছে, যারা টিকিট কিনেছিলেন তাদের সবাইকে টাকা ফেরত দেওয়া হবে। নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের মহিলা দলের মধ্যে খেলা টি টোয়েন্টি সিরিজের উপরও এর প্রভাব পড়বে।
সিরিজের তৃতীয় টি টোয়েন্টি ম্যাচটি ওয়েলিংটনে খেলতে হবে, যেখানে পূর্ব নির্ধারিত শিডিউল অনুসারে, চতুর্থ টি টোয়েন্টি ম্যাচটি অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে। এই টি টোয়েন্টি সিরিজে নিউজিল্যান্ড দলের পারফর্মেন্স খুব ভাল হয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ড অস্ট্রেলিয়াকে চার রানে পরাজিত করে। মার্টিল গুটিলের ৫০ বলে ৯৭ রানের ইনিংসের কারণে ২০ ওভারে নিউজিল্যান্ড সাত উইকেট হারিয়ে ২১৯ রান করেছে। এরপর মার্কাস স্টোইনিস (৭৮) এবং ড্যানিয়েল স্যামস (৪১) দুর্দান্ত খেলার পরেও অস্ট্রেলিয়া দল আট উইকেট হারিয়ে কেবল ২১৫ রান করতে পেরেছিল। প্রথম টি টোয়েন্টি ম্যাচটি নিউজিল্যান্ড ৫৩ রানে জিতেছিল।