বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচের কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে। ভারত এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার এই ফাইনাল ম্যাচটি সম্পর্কে সমস্ত ক্রিকেট ভক্তরা খুব আগ্রহী। ডাব্লুটিসি ফাইনালটি সাউদাম্পটনের এজিয়াস বোল মাঠে খেলতে হবে। এজিয়াস বোলে টিম ইন্ডিয়ার রেকর্ড খুব একটা খুশি হয়নি। ভারত ক্রিকেটের দীর্ঘতম ফর্ম্যাটে এই মাটিতে দুবার ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল এবং দুবারই দল হেরেছে।
এই প্রথম এজিয়াস বোল কোনও নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসাবে ব্যবহৃত হবে। স্বাগতিকরা এখানে এখন পর্যন্ত খেলা সমস্ত ছয়টি টেস্ট ম্যাচে অংশ নিয়েছে। তারা ভারতের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। এই দুটি ম্যাচে ভারতীয় দলকে পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। এজিয়াস বোলে এই দুটি ম্যাচ জিতেছে ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের দল এজিয়াস বোলে এখনও পর্যন্ত কোনও টেস্ট ম্যাচ খেলেনি। তবে কিউই দল এই মাঠে তিনটি ওয়ানডে খেলেছে যার মধ্যে এটি দুটি জিতেছে, একটি ম্যাচের ফল হয়নি। এজিয়াস বোলে পাঁচটি ওয়ানডে খেলার মধ্যে তিনটিতে জিতেছিল ভারত।
প্রথম টেস্ট ম্যাচটি ২০১১ সালের জুনে এজিয়াস বোলে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এবং ভারত মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ২০১৪ সালের জুলাইয়ে প্রথম টেস্ট খেলেছিল। ভারত ২৬৬ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচটি হেরেছিল। সেই ম্যাচে খেলেছিলেন চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলি, অজিঙ্ক রাহানে, রোহিত শর্মা, রবীন্দ্র জাদেজা এবং মহম্মদ শামি। ২০১৮ ইংল্যান্ড সফরের সময় মাটিতে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ খেলেছিল ভারত। সেই সময় কোহলি দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তবে ভারতের সর্বাধিক সফল অধিনায়কও এজিয়াস বোলে সাফল্য পাননি। ৬০ রানে এই দলটি হেরেছে ভারতীয় দল।
প্রথম ইনিংসে চেতেশ্বর পূজারা অপরাজিত ১৩২ রানে ছিল ভারতের আকর্ষণ। এটি প্রথম ইনিংসেও ভারতকে এক প্রান্ত দিয়েছিল, কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৫ রানের টার্গেটের সামনে ১৮৪ রানে অল আউট হয়েছিল ভারতীয় দল। বর্তমান দলের নয় জন খেলোয়াড় সেই ম্যাচের অংশ ছিল। এই দুটি ম্যাচেই অফ স্পিনার মইন আলিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছিল ভারতীয় দলকে। প্রথম ম্যাচে আটটি এবং দ্বিতীয় ম্যাচে নয়টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এটি দেখায় যে স্পিনাররা এজিয়াস বোলেও সহায়তা করে এবং এমন পরিস্থিতিতে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও জাদেজার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবে। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদেরও মিচেল স্যান্টনার মতো স্পিনারদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে।