শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের হয়ে এক সময় ক্রিকেট খেলা সুরজ রণদীভ নিজের প্রফেশন বদলে ফেলেছেন। তিনি এখন ক্রিকেটার থেকে ড্রাইভার হয়ে গিয়েছেন। নিজের এই নতুন চাকরি তিনি শুরু করেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। মেলবোর্নে অবস্থিত একটি ফ্রেঞ্চ কোম্পানিতে তিনি বাস ড্রাইভার হিসেবে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। শ্রীলঙ্কার প্রক্তন স্পিনার সূরজ রণদীভ ২০১৯ এ অস্ট্রেলিয়ায় চলে যান, যেখানে তিনি এখন বাস ড্রাইভারি করা ছাড়াও একটি স্থানীয় ক্লাবের হয়ে ক্রিকেটও খেলেন।
শ্রীলঙ্কার হয়ে তিন ফর্ম্যাটে খেলেছেন ক্রিকেট
সুরজ রণদীভ শ্রীলঙ্কার হয়ে তিন ফর্ম্যাটেই ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি ২০১১য় ভারতে খেলা হওয়া বিশ্বকাপেও শ্রীলঙ্কা দলের সদস্য ছিলেন। তিনি শ্রীলঙ্কার হয়ে ১২টি টেস্টে ৪৬টি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়াও ৩১টি ওয়ানডেতে ৩৬টি উইকেট এবং ৭টি টি-২০তে ৭টি উইকেট নিয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রনদীভের সর্বোচ্চ স্কোর ৫৬। তিনি নিজের শেষ ঘরোয়া ম্যাচ ২০১৯ এর এপ্রিল মাসে খেলেছিলেন।
বাস ড্রাইভারি ছাড়াও খেলেন স্থানীয় ক্রিকেট
Kept thinking about how this net bowler has the exact same action as former Sri Lankan office Suraj Randiv and turns out it’s Suraj Randiv himself #AUSvIND pic.twitter.com/qIz6SrZ79Q
— Bharat Sundaresan (@beastieboy07) December 23, 2020
৩৬ বছর বয়সী সুরজ রণদীভ অস্ট্রেলিয়ায় বাস ড্রাইভারি করা ছাড়াও স্থানীয় সার্কিটে ক্রিকেটও খেলেন। ভারতীয় দল যখন অস্ট্রেলিয়া সফরে ছিল তখন তিনি এমসিজিতে অস্ট্রেলিয়া দলকে নিজের স্পিন বলে প্র্যাকটিসও করিয়েছিলেন। বর্তমানে রণদীভ অস্ট্রেলিয়ায় ডান্ডেনাং ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলেন। এই ক্লাবটি ভিক্টোরিয়া প্রিমিয়ার ক্রিকেটের থেকে মান্যতাপ্রাপ্ত। আর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার রাজ্য স্তরের প্রতিযোগীতাতেও অংশ নেয়। এই ক্লাবের হয়ে রণদীপ ছাড়াও জেমস প্যাটিসন, পিটার সিডলের মতো তারকারাও খেলেন।
আইপিএলে সিএসকে-কে চ্যাম্পিয়ন করতে করেছিলেন সাহায্য
অস্ট্রেলিয়ায় বাস ড্রাইভারি করা শ্রীলঙ্কান এই স্পিনার ভারতের টি-২০ লীগ আইপিএলেও খেলেছেন। এই লীগে তিনি মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বাধীন সিএসকে দলের সদস্য ছিলেন। আর ২০১২য় এই ফ্রেঞ্চাইজিকে চ্যাম্পিয়ন হতেও সাহায্য করেছিলেন। ২০১২র মরশুমে সিএসকের হয়ে খেলে রণদীভ ৮টি ম্যাচে ৬টি উইকেট নিয়েছিলেন। ভারতীয় ক্রিকেটে সূরজ রণদীভ সবচেয়ে বেশি তার করা সেই নো বলের জন্য পরিচিত যা ৯৯ রানে ব্যাট করা বীরেন্দ্র সেহবাগকে সেঞ্চুরি থেকে আটকে দিয়েছিল।