ভারতীয় দল নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলছে কিন্তু রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, কে এল রাহুলের মতো টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা বিরতি তে রয়েছেন। সুনীল গাভাস্কারের মতে ভারতীয় টিম মানেজমেন্ট কে এখন থেকেই ২০২৩ বিশ্বকাপের জন্য পরিকল্পনা তৈরি করা উচিত। ভারতীয় প্রাক্তন ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার তার ক্যারিয়ারে বিরতি নিতে পছন্দ করেন নি। সম্প্রতি সময়ে তিনি বিসিসিআইকেও পরামর্শ দিলেন অন্তত ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ না হওয়া অবধি ভারতীয় টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের বিরতি না দিতে। তার মতে এতে (টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের না খেলাতে) ভারতীয় দলেরই ক্ষতি হচ্ছে।
একে অপরের প্রতি আস্থা রাখা প্রয়োজন
সুনীল গাভাস্কার মনে করেন দলে থাকতে গেলে একে অপরের উপর ভরসা রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ, যদি দল সংঘবদ্ধ হয়ে না খেলে তাহলে ম্যাচ জেতা সম্ভব হবে না, এবিষয়ে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, “এক বছরেরও কম সময় বাকি আছে বিশ্বকাপের, বিশ্রামের সময় নেই এবং তাই তাদের উচিত যতটা সম্ভব একসঙ্গে ব্যাটিং করে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরি করার। পার্টনারশিপ তৈরি করতে হলে প্রত্যেকটা ব্যাটসম্যান কে একে অপরের উপর আস্থা রাখতে হবে। সেটা তখনই সম্ভব যখন নিয়মিত একসঙ্গে খেলার পর ভালো বোঝাপড়া তৈরি হয়।“
নতুন দল নিয়ে পৌঁছিয়েছে ভারতীয় দল
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের এই সফরে অনেক নিয়মিত খেলোয়াড়দের বিরতি দেওয়া হয়েছে। তার একমাত্র উদ্দেশ্য পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ গুলির জন্য তাদেরকে ফিট রাখা। এখন শুধুমাত্র খেলোয়াড়দের নয় দলের স্টাফ দেরও বিরতি দেওয়া হয়। সম্প্রতি সময়ে রবি শাস্ত্রীয় বর্তমান ভারতীয় দলের হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে কটাক্ষ করেছিলেন ঘন ঘন বিরতি নেওয়ার জন্য। তিনি বলেছিলেন, “আমি বিরতিতে একদমই বিশ্বাসী নই। আমি আমার দলকে এবং দলের প্লেয়ারদের বসাতে চাই না এবং তাদের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণে থাকতে চাই। সত্যি বলতে, কিসের জন্য এত বিরতি চাই?“
ভারতীয় দলের আগামী সিরিজ
ভারতীয় দল নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলে চলে আসবে বাংলাদেশে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৩ টি ওডিআই ও ২ টি টেস্ট ম্যাচ খেলবে, দলে ফিরত আসবেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা, বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজের জন্য ভারতীয় দল রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), কেএল রাহুল (সহ-অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি, রজত পতিদার, শ্রেয়াস আইয়ার, রাহুল ত্রিপাঠি, ঋষভ পান্ত (উইকেটরক্ষক), ইশান কিশান (উইকেটরক্ষক), শাহবাজ আহমেদ, অক্ষর প্যাটেল, ওয়াশিংটন সুন্দর, শার্দুল ঠাকুর, মহম্মদ শামি, মহম্মদ সিরাজ, দীপক চাহার এবং কুলদীপ সেন।