উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant) ফিরোজ শাহ কোটলা মাঠে টসে আসার সাথে সাথে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে একটি বড় কৃতিত্ব নথিভুক্ত করেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো অধিনায়কত্বে নামলেন পন্থ। কেএল রাহুলকে এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হোম টি-টোয়েন্টি সিরিজে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সিরিজ শুরুর একদিন আগে, কুঁচকির চোটের কারণে রাহুল পুরো সিরিজ থেকে বাদ পড়েছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে হুট করেই এই সিরিজে টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক করা হয়েছে পন্থকে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো অধিনায়কত্বে নামলেন পন্থ
টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের দ্বিতীয় তরুণ অধিনায়ক হলেন পন্থ। ২৪ বছর বয়সে, পন্থ ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফর্ম্যাটে টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক হওয়ার সুযোগ পান। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন সুরেশ রায়না। রায়না যখন প্রথম টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের অধিনায়ক ছিলেন, তখন তাঁর বয়স ছিল ২৩ বছর ১৯৭ দিন। এর পরেই আসে টিম ইন্ডিয়ার অন্যতম সফল অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির (এমএস ধোনি) নাম। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ধোনি যখন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক ছিলেন, তখন তাঁর বয়স ছিল ২৬ বছর। টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন বিস্ফোরক ওপেনার বীরেন্দ্র সেহওয়াগ ২৮ বছর বয়সে টি-টোয়েন্টিতে ভারতীয় দলের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন, অন্যদিকে বিরাট কোহলিও ২৮ বছর বয়সে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ভারতের অধিনায়কত্ব করেছিলেন।
মিলার ও ভ্যান ডার ডুসেনের সামনে কোন উত্তরই ছিল না ভারতীয় বোলিংয়ের কাছে
অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ঋষভ পন্থের দলকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে সফরের শুভ সূচনা করলো প্রোটিয়া বাহিনী। এ দিন প্রথমে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয়ের জন্য ২১২ রানের লক্ষ্য দেয় ভারত। আইপিএলে অফ ফর্মে থাকা ইশান কিষাণ ৪৮ বলে ৭৬ রান করে যান। একই সঙ্গে ২৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। হার্দিক পান্ডিয়া ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন। তবে ভারতের এ দিন কোন ছকই কাজে দেয়নি। ১৯.১ ওভারে মূলত ডেভিড মিলার ও র্যাসি ভ্যান ডার ডুসেনের ব্যাটের ওপর ভর করে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় তেম্বা বাভুমার দল। এ দিন প্রথমে ব্যাট করে বড় রানই স্কোর করে ভারত। ইশান কিষাণ ছাড়াও, ছোট ছোট মারকুটে ইনিংস খেলে টিম ইন্ডিয়ার স্কোর ২১১ রানে পৌঁছে দেন শ্রেয়াস আইয়ার, ঋষভ পন্থরা। তবে মিলার (৬৪) ও ভ্যান ডার ডুসেনের (৭৬) সামনে কোন উত্তরই ছিল না ভারতীয় বোলিংয়ের কাছে।