গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরাস্ত করে আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপ খেতাব জয় করেছে ভারতীয় মহিলা দল। ভারতীয় মহিলা দলকে নিয়ে উচ্ছাস পুরো ভারতবর্ষ জুড়ে। ভারতের বিশ্ব জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন বাংলার রিচা ঘোষ (Richa Ghosh)। মেগা ফাইনালের মঞ্চে অনবদ্য ৩৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছিলেন রিচার। রিচার রানটি ভারতের কাছে এক্স ফ্যাক্টরের ভূমিকা পালন করেছে। ভারতীয় দলের কথা বলতে গেলে, এবারের বিশ্বকাপে শুরু থেকেই দাপট দেখিয়েছিল তাঁরা, এক সময়ে দক্ষিন আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড -এর কাছে গ্রুপ পর্যায়ে হারতে হয়েছিল ভারতকে। তবে, পরে কামব্যাক করে ভারতীয় দল। সেমিফাইনালে ও ফাইনালে ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন রিচা। এবার সেই রিচাকে সম্মানে ভাসিয়ে দিলো বাংলা ক্রিকেট বোর্ড ও রাজ্য সরকার।
রিচা ঘোষের নামে স্টেডিয়ামের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

বিশ্বজয়ী ক্রিকেটার তথা বাংলার গর্ব রিচা ঘোষের (Richa Ghosh) নামে তৈরি হতে চলেছে স্টেডিয়াম। শিলিগুড়ির চাঁদমণি টি এস্টেটের প্রায় ২৭ একর জমিতে রাজ্য সরকার নির্মাণ করবে এই আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম। সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা করেন। প্রথমে রিচাকে CAB অর্থাৎ ক্রিকেট এসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের পক্ষ থেকে ৩৪ লক্ষ টাকা ও সোনার ব্যাট-বল উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। এখানেই শেষ নয়, রাজ্য সরকার রিচাকে বঙ্গবিভূষন পুরস্কারে সম্মানিত করেছিল। তবে রিচার নামে উত্তরবঙ্গে নতুন স্টেডিয়াম হওয়ার প্রসঙ্গে বেশ খুশি রিচার পরিবার।
Read More: ভারতীয় দলের নেতৃত্বের দায়িত্বে আসছেন রিচা ঘোষ, সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য !!
এই খবর জানার পর আবেগে ভেসে যান রিচার বাবা মানবেন্দ্র ঘোষ। মেয়ের সাফল্য ও রাজ্য সরকারের এই ঘোষণার পর মুখ খুলে তিনি বলেন, “এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। বহু বছরের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। রিচার জন্য এটা গর্বের, একইসঙ্গে উত্তরবঙ্গের সব তরুণ-তরুণীর জন্যও অনুপ্রেরণা।” রিচার মা স্বপ্না ঘোষও জানান, “এটা শুধু আমাদের পরিবারের নয়, পুরো উত্তরবঙ্গের জন্য এক বিশাল গর্বের মুহূর্ত।”
মেয়ের উন্নতিতে খুশি রিচার বাবা-মা

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী, রিচার নামেই তৈরি হবে শিলিগুড়ির প্রথম আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম — ‘রিচা ঘোষ ক্রিকেট স্টেডিয়াম’। ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে এই পদক্ষেপ একেবারে অভিনব, কারণ দেশের কোনো সক্রিয় ক্রিকেটারের নামে আগে কোনো স্টেডিয়াম নির্মাণ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত উত্তরবঙ্গের ক্রীড়াবিকাশে নতুন অধ্যায় সূচনা করবে।