ভারত, বাংলাদেশ থেকে শুরু করে বিশ্বজুড়ে ক্রিকেট এখন চূড়ান্ত ব্যস্ততার সময় পার করছে। আন্তর্জাতিক ম্যাচের পাশাপাশি চলেছে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি টি–টোয়েন্টি লিগ। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের অগ্রগতির পাশাপশি বাঁকি দেশের প্রিমিয়ার লিগ গুলি উন্নতির পথে এগিয়েছে। আর মাত্র কয়েকদিন বাদেই শুরু হবে আইপিএল ২০২৬-এর নিলাম নিলামের মঞ্চে ইতিমধ্যে একাধিক খেলোয়া তাদের নাম লিখিয়ে ফেলেছেন। অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশে ইতিমধ্যে নিলাম কাজ সম্পন্ন হয়ে যায়। ৩০ নভেম্বর হওয়া এই নিলাম ঘিরে ছিল বিশেষ আগ্রহ, কারণ প্রথমবার কোনও ভারতীয় ক্রিকেটার এতে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় নিলামে দল পেলেন না রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) প্রিয় বন্ধু।
দলে জায়গা পেলেন না রোহিত শর্মার বন্ধু

নিলামে অবিক্রিতই রয়ে গেলেন তিনি। এই খেলোয়াড় আর কেউ নন, প্রাক্তন ভারতীয় লেগ স্পিনার পীযূষ চাওলা (Piyush Chawla)। BPL’এর প্রথম নিলামটি দীর্ঘ ১২ বছর পর আয়োজিত হয়েছে। আর এই নিলামে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে ২৪৫ জন বিদেশি ক্রিকেটার নাম নিবন্ধন করেছিলেন। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন ভারতীয় এই তারকা স্পিনার। ঘরোয়া ক্রিকেট ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পীযুষ চাওলা একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়, তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতার দিকে নজর রেখে অন্তত একটি দল নিশ্চয়ই আগ্রহ দেখাবে বলেই ধারণা ছিল ভক্তদের। কিন্তু প্রত্যাশার বিপরীতে কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁকে কেনেননি।
৩৬ বছর বয়সী চাওলা ২০২৫ সালের জুনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, ঘরোয়া ক্রিকেট ও আইপিএল – সব ফরম্যাট থেকেই অবসর নিয়ে নেন। অবসরের পর বিদেশি লিগে খেলার পথ খুলে যায় তাঁর জন্য। সেই সুযোগেই তিনি বিপিএল নিলামে নাম জমা দেন। তবুও বিস্ময়করভাবে তিনি অবিক্রিত থেকে যান। ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা এই বোলার ২০০৭ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন। জাতীয় দলের হয়ে তিনি খেলেছেন ৩টি টেস্ট, ২৫টি ওডিআই এবং ৭টি টি- টোয়েন্টি ম্যাচ। আইপিএলের মঞ্চেও তাঁর রেকর্ড বেশ উজ্জ্বল। ১৯২ ম্যাচে চাওলা ১৯২টি উইকেট পেয়েছেন।
নাইট রাইডার্সের হয়ে দুর্দান্ত কীর্তি পীযুষ চাওলার

তাছাড়া, ২০১২ ও ২০১৪ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে শিরোপা জেতাতে তাঁর অবিস্মরণীয় পারফরম্যান্স এখনো ভক্তদের স্মৃতিতে তাজা। তবে ভারতের চাওলা একাই নন, নিলামে দল পাননি একাধিক তারকা ক্রিকেটাররা।আয়ারল্যান্ডের জশ লিটল, ইংল্যান্ডের রবি বোপারা, শ্রীলঙ্কার চারিথ আসালঙ্কা ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, পাকিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার শোয়েব মালিকসহ আরও অনেকে পাননি কোনো দল। এমনকি পাকিস্তানের টি–টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সালমান আলি আগাও কোনও দলে জায়গা পাননি।