সমাপ্ত হলো অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, দলের তারকা খেলোয়াড় পার্শ্বী চোপড়া (Parshavi Chopra) তার মারাত্মক বোলিং প্রদর্শন দেখিয়ে প্রতিপক্ষকে অনেক সমস্যায় ফেলেছিলেন। মাত্র ছয় ম্যাচে তিনি মোট ১১ টি উইকেট নিয়েছিলেন এবং এই বিশ্বকাপে সর্বাধিক উইকেট নেওয়ার তালিকায়ও দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন।টিম ইন্ডিয়াকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করে তুলতে পার্শ্বীর গুরুত্বপূর্ণ বোলিং প্রদর্শন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পার্শ্বী তাদের পরিবারের একমাত্র মেয়ে এবং তিনি সেই সাফল্য অর্জন করেছে যা তার পরিবারের অন্য কেউ এখনও পর্যন্ত অর্জন করতে পারেনি। কন্যার সাফল্য পুরো পরিবারকে আনন্দ ও উদযাপনের সুযোগ দিয়েছে। তার বাবা, দাদু এবং কাকাও ক্রিকেটার ছিলেন, কিন্তু ক্রিকেট পার্শ্বী চোপড়ার প্রথম প্রেম ছিল না।
বিশ্বকাপ জিততে দিতে হয়েছিল ভালোবাসাকে বিসর্জন
তার পরিবারের অনেক সদস্য শুধু ক্রিকেটের সাথেই যুক্ত ছিলেন।তা সত্ত্বেও, ক্রিকেটের আগে স্কেটিং-কেই পছন্দ করতেন তিনি।তার স্কুলের দিনগুলিতে, তিনি স্কেটিংয়ে অনেক পদক জিতেছিলেন। পরে তিনি স্কেটিং ছেড়ে ক্রিকেট গ্রহণ করেন এবং সফলতা অর্জন করেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, পার্শ্ব্বী তার বাবার কথায় স্কেটিংকে বিদায় জানিয়ে ক্রিকেটকে আপন করতে হয়েছিল, বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরমেন্সের পরে তার বাবা গৌরব চোপড়া বেশ খুশি হয়েছেন এবং মন্তব্য করে বলেছেন, “ক্রিকেট আমাদের ডিএনএতে আছে। তবে এটা সাফল্যের প্রথম ধাপ, তাকে অনেক দূর যেতে হবে। শেখার জন্য বয়স কোন বাধা নয় কিন্তু আমরা আজ গর্বিত বোধ করছি যে আমাদের মেয়ে বিশ্বে পরিচিত।“
এক হার না মানা যোদ্ধা হলেন পার্শ্বী
খুবই অল্প বয়সে পার্শ্বী চোপড়া ক্রিকেট একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেছিলেন এবং মাত্র ১৩ বছর বয়সে তিনি উত্তরপ্রদেশের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে তার ক্যারিয়ার ভালো ভাবে শুরু হয়নি, ফিল্ডিং করতে গিয়ে চোট পান তিনি তখন দলের কোচ তাকে বসার পরামর্শ দেন, কিন্তু তিনি হার না মেনে ম্যাচটি খেলেন ও তিন উইকেট নেন পার্শ্বভি। বিশ্বকাপে দুরন্ত ছন্দে দেখা যায় তাকে, ফাইনালে ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন। ইংল্যান্ড দল মাত্র ৬৮ রান বানাতেই সক্ষম হয়েছিল ফাইনালে, জবাবে ভারতীয় দল খুব সহজেই প্রয়োজনীয় রান তুলে দিয়ে প্রথম প্রচেষ্টায় বিশ্বকাপ জিতে নিলো।