PAK vs ENG: "স্বার্থপর ব্যাটিং করে হারালো দল'কে" ফাইনালে মন্থর ইনিংস বাবর-এর, নেটিজেনদের ট্রলের মুখে পাকিস্তান অধিনায়ক !! 1

PAK vs ENG: অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে ফিরবে ১৯৯২ সালের স্মৃতি। ইংল্যান্ড’কে হারিয়ে আরও একবার বিশ্বকাপ জিতে নেবে ‘আন্ডারডগ’ পাকিস্তান। এই আশা নিয়েই টিভি’র সামনে বসেছিলেন অগণিত পাকিস্তান সমর্থক। দিনের শেষে কল্পনা আর বাস্তবের ব্যবধান’টা রয়েই গেলো। বৃশটির আশঙ্কা থাকলেও শেষমেশ আকাশ ভেঙে নামে নি বারি ধারা। সমর্থকেরা চেয়েছিলেন রানের বৃষ্টি হোক রবিবাসরীয় মেলবোর্নে। তাও দেখা গেলো না এদিন। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান। শুরু থেকেই বোলার’রা দাপট দেখাতে থাকায় মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি পাক ব্যাটিং। মাত্র ১৩৭ রানেই থেমে যায় তারা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বেন স্টকসের অনবদ্য ৫২*এর সুবাদে ম্যাচ জিতে নেয় ইংল্যান্ড। ফাইনালে পাকিস্তানের ভরাডুবির জন্য অনেক জায়গায় দায়ী করা হচ্ছে অধিনায়ক বাওর আজমের মন্থর ব্যাটিং’কে।

গিয়ার বদলাতে ব্যর্থ বাবর, সমাজমাধ্যমে চলছে মস্করা-

Babar Azam | image: Twitter
Babar Azam facing the heat of social media after batting with a very low strike rate in the T20 World Cup final.

বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে দুই হারের পর অতি বড় পাকিস্তান সমর্থক’ও হয়ত ভাবেন নি টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলবে তাঁর প্রিয় ফল। তবে কথায় আছে ট্রুফ ইজ স্ট্রেঞ্জার দ্যান ফিকশন। ইংরেজি প্রবাদবাক্য’কে সত্যি করে কিছুটা দৈব আর অনেকটা নিজেদের দুর্দান্ত ক্রিকেটের সাহায্যে অসম্ভব’কে প্রায় সম্ভব করে ফেলেছিলেন বাবর আজম, শাহীন শাহ আফ্রিদি’রা। ফাইনাল ম্যাচে টসে জিতে পাকিস্তান’কে ব্যাট করতে পাঠান ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। গত ম্যাচে ১০৫ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ করলেও আজ বেশীদূর এগোন নি বাবর-রিজওয়ান জুটি। স্যাম কারানের বলে আউট হন রিজওয়ান। তার পর যেন লকগেট আটকে যায় বাবর আজমের ব্যাটিং-এ। অতি সাবধানী হতে গিয়ে প্রচুর বল নষ্ট করেন পাক অধিনায়ক। শেষমেশ ২৮ বলে ৩২ রান করে আদিল রশিদের বলে আউট হন তিনি। মাত্র ২ টি চার এসেছিলো তাঁর ব্যাট থেকে। একটিও ছক্ক মারতে পারেন নি তিনি। টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালের মত মঞ্চে বাবরের মন্থর ব্যাটিং নিয়ে ক্ষুব্ধ পাক সমর্থক’রা। আর এই সুযোগে মিম, ট্রলের বন্যায় পাক অধিনায়ক’কে ভাসাতে দেরী করেন নি প্রতিপক্ষ দলের সমর্থকেরা। দেখে নিন ট্যুইটার চিত্র-

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *