অধিনায়ক হিসেবে দলের সঙ্গে বিরাট কোহলির প্রত্যাবর্তনের পর ভারত আর ইংল্যান্ডের মধ্যে ৪ টেস্ট ম্যাচের সিরিজের প্রথম ম্যাচ চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে খেলা হয়েছে। যেখানে ইংলিশ দল ম্যাচের শুরু থেকেই দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে ভারতীয় দলকে কোনো সুযোগ দেয়নি আর ২২৭ রানের বড়ো ব্যবধানে জয় হাসিল করে নিয়েছে।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে ভারতীয় দলের নিয়মিত অধিনায়ক বিরাট কোহলি একটা ব্রেকের পর দলে ফিরেছেন। কিন্তু প্রথমে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া হার আর চেন্নাইয়ের প্রথম টেস্ট ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ হারার পর বিরাট কোহলির অধিনায়কত্ব নিয়ে আবারও তর্কবিতর্ক দ্রুত হয়ে গিয়েছে।
কোহলির অধিনায়কত্বে দলকে পড়তে হচ্ছে হারের মুখে
অস্ট্রেলিয়া সফরে মেলবোর্নে খেলা হওয়া প্রথম টেস্টে বিরাট কোহলি ভারতীয় দলের অধিনায়কত্ব করেছিলেন। ওই ম্যাচে ভারতীয় দলকে অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটের বড়ো ব্যবধানে হারিয়েছিল। কিন্তু এরপর যখন কোহলি পিতৃত্বকালীন অবকাশের কারণে দেশে ফিরে যান তো অজিঙ্ক রাহানের অধিনায়কত্বে খেলে ভারত দুর্দান্ত প্রদর্শন করে আর সিরিজও ২-১ ফলাফলে জিতে নেয়। এরপর ইংল্যান্ড সিরিজে ৩২ বছর বয়সী কোহলি অধিনায়ক হিসেবে আবারও ফিরে আসেন। কিন্তু আরও একবার ভারতীয় দলকে তার নেতৃত্বে একই ফলাফলের মুখোমুখি হতে হয় যা মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দেখা গিয়েছিল।
রাহানের উপস্থিতি আর অস্ট্রেলিয়ায় জয় এই তর্কের আসল কারণ – কেভিন পিটারসন
প্রথম টেস্টে হারের পর কোহলি আর রাহানের মধ্যে অধিনায়কত্ব নিয়ে ক্রিকেট এক্সপার্ট আর ক্রিকেট সমর্থকদের মধ্যে তর্ক আর আলোচনার সুযোগ আরও একবার খুলে গিয়েছে। এই ব্যাপারে প্রাক্তন ক্রিকেট তারকারাও নিজেদের রায় ব্যক্ত করছেন। সেই তালিকায় প্রাক্তন ইংলিশ অধিনায়ক আর তারকা ক্রিকেটার কেভিন পিটারসনও নিজের মতামত ব্যক্ত করে বলেছেন, “আমি একদমই চাই না যে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট বিষয়গুলিতে সামান্যতমও পরিবর্তন করুক। কিন্তু ভারতীয় টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব নিয়ে চলা তর্ককে উপেক্ষা করাও প্রায় অসম্ভব। এখনও পর্যন্ত অধিনায়ক হিসেবে বিরাট কোহলির এটা নিয়মিত চতুর্থ হার। অন্যদিকে এই তর্কের ইন্টেনসিটি এই কারণেও বেড়ে যায় কারণ দলে অজিঙ্ক রাহানেও উপস্থিত রয়েছেন যার অধিনায়কত্বে ভারত অস্ট্রেলিয়ায় ঐতিহাসিক সিরিজ জয় হাসিল করেছিল”।
কোহলি দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে জেতার ক্ষমতা রাখেন – পিটারসন
এছাড়াও পিটারসন এই তর্ককে ভ্রষ্ট বলে আগে বলেন যে, “এই আলোচনা এমন একটা ডিস্ট্র্যাকশন, যা বিরাট কোহলির প্রয়োজন নেই, কিন্তু ও দ্বিতীয় টেস্টে নিজের দলকে জয় পর্যন্ত নিয়ে যেতে নিজের লিডারশিপ ক্ষমতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারে, যাতে এই তর্ককে একটা বিরাম দেওয়া যায় আর দল নিজের খেলায় সম্পূর্ণভাবে ফোকাস করতে পারে”।