বিসিসিআই ছেড়ে এবার আইসিসি’র মসনদে জয় শাহ (Jay Shah)। গত ১ ডিসেম্বর থেকেই বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থার শীর্ষপদে বসেছেন তিনি। কনিষ্ঠতম ব্যক্তি হিসেবে ক্রিকেটদুনিয়ার সর্বোচ্চ আসনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র। নিউজিল্যান্ডের গ্রেগ বার্কলে সরে দাঁড়ানোর পর পরবর্তী চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলো আইসিসি। জয় শাহ ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য ইচ্ছাপ্রকাশ করেন নি কেউই। ভোটদানকারী ১৬ সদস্যের মধ্যে ১৫ সদস্যই প্রকাশ্যে সমর্থন করেছিলো ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসককে। সরাসরি সমর্থন করে নি কেবল পাকিস্তান। তবে কোনো বিরোধী প্রার্থীও খাড়া করে নি তারা। ভোটদানে কেবল বিরত থাকে পিসিবি। পড়শি দেশের মৌনতা সত্ত্বেও নির্বাচিত হতে কোনো রকম সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় নি জয় শাহকে (Jay Shah)।
Read More: IND vs AUS 3rd Test: বৃষ্টি কপাল পোড়ালো ভারতের, ব্রিসবেনে চাপের মুখে রোহিত শর্মা’র দল !!
পাকিস্তানের সব শর্ত মানছে না আইসিসি-
বিসিসিআই সচিব থাকাকালীন পাক বিরোধী অবস্থান নিয়েছিলেন জয় শাহ (Jay Shah)। গত বছর এশিয়া কাপের আগে ভারতকে যাতে পাকিস্তানে গিয়ে কোনো ম্যাচ খেলতে না হয় তা নিশ্চিত করতে উঠেপড়ে লেগেছিলেন। মূলত তাঁর উদ্যোগেই শেষমেশ হাইব্রিড মডেলে সায় দিতে বাধ্য হয় এসিসি। ভারতের সবক’টি ম্যাচ ও টুর্নামেন্টের নক-আউট পর্ব সরে গিয়েছিলো শ্রীলঙ্কায়। আইসিসি চেয়ারম্যান পদে বসার পরেও নিজের অবস্থান থেকে তিনি আদৌ সরবেন না বলেই মনে করছে ক্রিকেটবিশ্ব। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (CT 2025) নিয়ে ফের একবার দড়ি-টানাটানি চলছে উপমহাদেশের দুই ক্রিকেটীয় শক্তির মধ্যে। এই যুদ্ধে জয় শাহের (Jay Shah) ভোট কোন দিকে থাকবে তা অনুমান করে নিতে বিশেষ কষ্ট করতে হচ্ছে না কাউকেই।
নতুন চেয়ারম্যানের কার্যকালে পাকিস্তান যে আরও খানিক কোণঠাসা হতে চলেছে আইসিসির অন্দরে, তার খানিক আভাস পাওয়া গিয়েছে ইতিমধ্যেই। সূত্রের খবর যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (CT 2025) জন্য হাইব্রিড মডেলে সায় দিতে বাধ্য হয়েছে পিসিবি। একই সাথে লভ্যাংশের বাড়তি অংশ বা ক্ষতিপূরণের বাড়তি টাকা যা পাক বোর্ডের তরফে দাবী করা হয়েছিলো বলে খবর মিলেছিলো সংবাদমাধ্যম সূত্রে, তাও আইসিসি দিচ্ছে না। ২০২৫-এর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে হাইব্রিড মডেলে সম্মতি দেওয়ার বিনিময়ে ২০২৭ অবধি ভারতে এসে কোনো ম্যাচ যাতে না খেলতে হয় সে বিষয়ে সবুজ সংকেত চেয়েছিলো পিসিবি। এই দাবী আংশিক মেনেছে জয় শাহ (Jay Shah) অ্যাণ্ড কোং। ২০২৬-এর টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য ভারতে আসতে হবে না বাবর আজমদের। তবে কোনো লিখিত ছাড়পত্র পিসিবিকে দেওয়া হচ্ছে না বলেই খবর।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচ দুবাইতে খেলবে ভারত-
শনিবার অর্থাৎ আজই এক ভার্চুয়াল বৈঠকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (CT 2025) সংক্রান্ত যাবতীয় জটিলতা মিটে যাওয়ার সম্ভাবনা। সবকিছু ঠিক থাকলে আজ রাতে অথবা আগামীকাল সূচি ও অন্যান্য বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারে আইসিসি। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে যে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চের মধ্যে টুর্নামেন্ট আয়োজন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (PCB)। অংশগ্রহণকারী আট দলকে ভাগ করা হয়েছে দুটি গ্রুপে। প্রথম গ্রুপে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় গ্রুপে জায়গা হয়েছে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তানের। জুন মাসে প্রস্তাবিত ক্রীড়াসূচি অনুযায়ী ভারতের সবক’টি ম্যাচ লাহোরে আয়োজিত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তা সরে যাচ্ছে দুবাইতে। অন্য ম্যাচগুলি লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি ও করাচীতে হবে।