চলতি টি-২০ (IND vs SA) সিরিজে টিকে থাকতে হলে শুক্রবার জিততেই হত ভারতকে। আর রাজকোটে অনুষ্ঠিত হওয়া চতুর্থ ম্যাচে জিততে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৮২ রানে হারিয়ে দিল টিম ইন্ডিয়া। এ দিন প্রথমে ব্যাট করে ১৬৯ রান করে ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮৭ রানেই শেষ হয়ে যায় প্রোটিয়া ইনিংস। এ দিন ভারতের হয়ে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের ‘হিরো’ টিম ইন্ডিয়ার তরুণ পেসার আভেশ খান। ব্যাট হাতে হয়ে ভালো ইনিংস খেলেছেন হার্দিক পান্ডিয়া ও দিনেশ কার্তিক। ঝড়ো পারফরমেন্সে হাফ সেঞ্চুরি করেন কার্তিক। পান্ডিয়া ৪৬ রানের অবদান রাখেন।
ব্যাট হাতে আগুন ঝরালেন হার্দিক ও কার্তিক
এ দিন, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে ওপেন করতে আসেন ঋতুরাজ গায়কওয়াড় ও ইশান কিষাণ। মাত্র ৫ রান করে লুঙ্গি এনগিদির বলে শিকার হন ঋতুরাজ। ২৬ বলে ২৭ রান করেন ইশান। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও একটি ছক্কা। শ্রেয়াস আইয়ার এ দিন বড় রান করতে ব্যর্থ হলেন। মাত্র ৪ রান করে আউট হন তিনি। অধিনায়ক ঋষভ ২৩ বলে ১৭ রান করে কেশব মহারাজের বলে আউট হন। ভারতের হয়ে শুক্রবার ঝড়ো ইনিংস খেলেন হার্দিক পান্ডিয়া। তিনি ৩১ বলে ৪৬ রান করেন। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ৩টি ছক্কা। অন্যদিকে দিনেশ কার্তিকও মারকুটে ইনিংস খেলে আউট হন। ২৭ বলে ৫৫ রান করেন তিনি। কার্তিক মারেন ৯টি চার ও ২টি ছক্কা। শেষ পর্যন্ত ৪ বলে ৮ রান করে অপরাজিত থাকেন অক্ষর প্যাটেল।
ভারতীয় বোলরদের সামনে নতজানু প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থাকেই উইকেট হারাতে থাকেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা। শুধুমাত্র রাসি ভ্যান ডুসেন, মার্কো জ্যানসেন ও কুইন্টন ডি কক দুই অঙ্কের স্কোরে পোঁছান। ওপেন করতে নেমে ডি কক ১৪ রান করেন। দলের অন্য ওপেনার তেম্বা বাভুমা চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লে তিনি আর পরে ব্যাট করতে নামেননি। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা প্রিটোটিয়াস কোন রানই করতে পারেননি এ দিন। হেনরিখ ক্লাসেন ৮ রান করেন। দলের অন্য তারকা ব্যাটসম্যান ডেভিড মিলার ৯ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। শুরু থেকেই পরপর উইকেট হারাতে থাকায় রাজিকোটে একবারও মনে হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচটা জিততে পারে। ভারতকে সিরিজে ফিরিয়ে নিয়ে আসার এই ম্যাচে ৪টি উইকেট পেলেন আভেশ খান। দুটি উইকেট তুলে নেন যুজবেন্দ্র চাহাল। এ দিনের এই জয়ের ফলে সিরিজের ফলাফল এখন ২-২।