রবিবার, ম্যাঞ্চেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ওয়ানডে সিরিজের (IND vs ENG) শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও ইংল্যান্ড। আর এই অ্যাসিড টেস্টে উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্থের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরির সঙ্গে পান্ডিয়ার অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের ওপর ভর করে এই ম্যাচ ভারত জিতে যায় ৫ উইকেট আর ৪৭ বল হাতে রেখে। একই সঙ্গে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটাও ২-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে রোহিত শর্মার দল।
পন্থের ব্যাটেই মোক্ষলাভ ভারতের
সিরিজ ১-১ অবস্থায় এই ম্যাচে মাঠে নেমেছিল দুই দল। আগের দুটি ম্যাচ হয়েছে একেবারে একতরফা। ওভালে ইংল্যান্ডকে ১১০ রানে শুইয়ে দিয়ে ভারত দশ উইকেটে জিতেছিল। ঠিক তার পরের ম্যাচেই লর্ডসে ১০০ রানে জিতে সিরিজে সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড। রবিবার, ওল্ড ট্রাফোর্ডে পন্থ-পান্ডিয়ার জুটিটা হওয়ার আগে পর্যন্ত মনে হচ্ছিল, ম্যাচটা জিতে যাবে ইংল্যন্ড। কিন্তু ১১৫ বলে ১৩৩ রানের জুটি গড়ে ম্যাচটা কী দুর্দান্ত ভঙ্গিতে ইংল্যান্ডের হাত থেকে বের করে নিয়ে গেলেন পন্থ ও পান্ডিয়া।
এ দিন শুরু থেকেই মারকুটে মেজাজে ছিলেন হার্দিক। তিনি রান করে গেছেন একশির বেশি স্ট্রাইক রেটে। অন্যপ্রান্তে পন্থ তখন ধরে খেলায় মন দেন। উইকেট আগলে রাখার দিকে মন দেন তিনি। পান্ডিয়ার হাফ সেঞ্চুরিটা করেন ৪৩ বলে। তাকে যোগ্য সঙ্গত দেওয়া পন্থ ৭১ বলে ৫০ রান করেন। ৫৫ বলে ৭১ রান করে পান্ডিয়া যখন ব্রাইডন কার্সের বলে বেন স্টোকসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান, পন্থই তখন ম্যাদ জেতানোর দায়িত্ব নিয়ে নেন।
কী বললেন ম্যাচের সেরা পন্থ?
এ দিন পন্থ ১০৬ বলে করে ফেলেন ওয়ানডে কেরিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিও। উইকেটের অন্যদিকে রবীন্দ্র জাদেজা প্রায় দর্শক হয়েই দেখেছেন পন্থের ব্যাটিং। শেষ পর্যন্ত দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন পন্থ। তিনি অপরাজিত রয়ে যান ১১৩ বলে ১২৫ রান করে। দুর্দান্ত ইনিংসে ১৬টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ২টি ছক্কাও। ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেয়ে তিনি বলেন, “ইংল্যান্ডের মাটিতে খেলতে আমি এমনিতে পছন্দ করি। এখানে যত খেলবে ততই অভিজ্ঞতা অর্জন করা যাবে। এই ইনিংসটা আমি সারা জীবন মনে রাখতো। এমন চাপের মধ্যেই খেলতে আমি ভালোবাসি। দলকে তাই জেতাতে পেরে বেশি ভালো লাগছে। তবে এই পিচে বোলারদের আলাদা করে প্রশংসা করতে হবে। যেভাবে ব্যাটিং পিচে ওরা গোটা সিরিজে বল করেছে তা তারিফের যোগ্য।”