ind-vs-eng-ex-pak-player-accuses-india-of-ball-tampering

IND vs ENG: ওভালে একটা সময় দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিলো টিম ইন্ডিয়ার। সেই কঠিন পরিস্থিতিতেও দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ‘মেন ইন ব্লু।’ পঞ্চম দিনের সকালে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিলো মাত্র ৩৫ রান (IND vs ENG)। ভারতকে তুলতে হত ৪ উইকেট। সম্প্রচারকারী সংস্থার ‘উইন প্রেডিক্টর’ দেখাচ্ছিলো যে স্বাগতিক দেশের জয়ের সম্ভাবনা ৬৭ শতাংশ, তুলনায় ভারতের সাফল্যের সম্ভাবনা ছিলো মাত্র ৩২ শতাংশ। আর ১ শতাংশ সম্ভাবনা ছিলো টাইয়ের। তবে সংখ্যাতত্ত্বের যাবতীয় হিসেবনিকেশ উলটে দেন মহম্মদ সিরাজ ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। জেইমি ওভারটন, জেইমি স্মিথদের ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। শেষমেশ সিরাজের ইয়র্কারে গাস অ্যাটকিনসনের স্টাম্প ছিটকে যেতেই ইতিহাস গড়ে ফেলে ভারত। ওভালে স্মরণীয় জয় ছিনিয়ে নিয়ে ২-২ ড্র করে অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফি।

Read More: শেষের পথে রোহিত-কোহলি অধ্যায়, ওয়ান ডেতেও তারুণ্যকেই অগ্রাধিকার বিসিসিআই-এর !!

ভারতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ-

IND vs ENG | Image: Getty Images
IND vs ENG | Image: Getty Images

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলের লড়াকু মানসিকতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ক্রিকেটদুনিয়া (IND vs ENG)। কোহলি, রোহিত, অশ্বিনের মত মহাতারকার অবসরের পর আদৌ ‘মেন ইন ব্লু’ কোনো রকম প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে কিনা তা নিয়েই একটা সময় সন্দিহান ছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তা সত্ত্বেও শুভমান গিলের (Shubman Gill) দল যে পারফর্ম্যান্স করেছে বেন স্টোকসদের বিরুদ্ধে তাকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন সকলে। কিন্তু ওয়াঘার ওপারে ছবিটা খানিক আলাদা। টিম ইন্ডিয়ার এই অসামান্য সাফল্যেও দুর্নীতির কালো ছায়া খুঁজে পাচ্ছেন পাকিস্তানের কেউ কেউ। তেমনই একজন পাক দলের প্রাক্তনী সাবির আহমেদ খান (Sabeer Ahmed Khan)। ভারতকে শুভেচ্ছা জানান নি তিনি। বরং ট্যুইট বার্তায় লেখেন, “আমার মনে হয় ভারত ভেসলিন ব্যবহার করেছে। ৮০ ওভারের বেশী ব্যবহৃত বলে নতুনের মত চমক। আম্পায়ারের উচিৎ বলটিকে পরীক্ষাগারে পাঠানো।”

প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড বল বিকৃতির জন্য কাঠগড়ায় তোলে নি টিম ইন্ডিয়াকে (IND vs ENG)। ইংল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমও এহেন কোনো অভিযোগ করে নি। বিতর্কিত কিছু ধরা পড়ে নি সম্প্রচারকারী সংস্থার ক্যামেরাতেও। তা সত্ত্বেও কিসের ভিত্তিতে এত বড় অভিযোগ করছেন সাবির? প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা। ‘ঈর্ষাতে কারও ভালো হয় না,’ লিখেছেন একজন। ‘আপনাদের উচিৎ নিজেদের বোলিং লাইন-আপ’কে উন্নত করা। ভারতের দিকে তাকিয়ে থাকার প্রয়োজন নেই,’ আক্রমণ শানিয়েছেন আরও একজন। SENA দেশগুলিতে সাম্প্রতিক অতীতে পাকিস্তানের হতশ্রী টেস্ট পারফর্ম্যান্সের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন কেউ কেউ। খেলোয়াড় জীবনে সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের জন্য নির্বাসিত হয়েছিলেন সাবির (Sabeer Ahmed Khan), সেকথা মনে করিয়ে তাঁকে খোঁচা দিতেও ছাড়েন নি কেউ কেউ।

এমন অভিযোগ আগেও এসেছে পাকিস্তান থেকে-

Hasan Raza | Image: Twitter
Hasan Raza | Image: Twitter

ভারতীয় বোলারদের বিরুদ্ধে বলবিকৃতির অভিযোগ আগেও এসেছে সীমান্তের ওপার থেকে। ২০২৩-এর ওয়ান ডে বিশ্বকাপ চলাকালীন একটি নিউজ চ্যানেলের স্টুডিয়োতে বসে বিস্ফোরক দাবী করেছিলেন প্রাক্তনী হাসান রাজা। তিনি বলেন ভারতকে বিশেষ বলে বোলিং করার সুযোগ দিচ্ছে আইসিসি। সেই বলের মধ্যে থাকা চিপের দৌলতেই বাড়তি স্যুইং পাচ্ছেন শামি-বুমরাহ-সিরাজরা। এই ভিত্তিহীন দাবী অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছিলেন পাক কিংবদন্তি ওয়াসিম আক্রম’ই (Wasim Akram)। তিনি জানান, “এমন সব হাস্যকর কথাবার্তা বলে নিজের সাথে সাথে দেশের সম্মানও মাটিতে মিশিয়ে দিচ্ছেন। ভেবে কথা বলা প্রয়োজন।” শামিকেও প্রশ্ন করা হয়েছিলো এই বিষয়ে। তিনি বলেন, ““পাকিস্তানীরা আমাদের নিয়ে কখনও খুশি থাকতে পারেন না। আপনাদের বোলাররা স্যুইং করালে সেটা দক্ষতা আর আমরা করলে নাকি বলবিকৃতি।”

Also Read: IND vs ENG 5th Test: তিনটি মুহূর্ত যা ওভাল টেস্টে ভাগ্য বদলে দিলো টিম ইন্ডিয়ার !!

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *