ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম বড় নাম হলো বিরাট কোহলি, এই যুগের সবথেকে সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে মানা হয় বিরাট কোহলিকেই ( Virat Kohli ), তিন বছর ধরে ফর্মের উপর-নীচ চলে আসছিল বিরাট কোহলির সঙ্গে। তবে তিনি এখন বেশ ফর্মে আছেন, ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি তার ৭১ তম সেঞ্চুরিটি খুঁজে পেয়েছিলেন এশিয়া কাপের মঞ্চে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। ঠিক ওই ম্যাচের পর থেকেই পুরনো সফর শুরু হয়েছে বিরাটের। বিরাট কোহলি এই বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫৩ বলে ৮২ রানের দুরন্ত একটি ইনিংস খেলেছিলেন যার দৌলতে মনে হচ্ছিল ভারত এবার বিশ্বকাপ পেয়ে গিয়েছে, তবে ভাগ্যের পরিহাসে সেমি ফাইনালে ১০ উইকেটে লজ্জা জনক ভাবে পরাজিত হয়ে ভারতকে টুর্নামেন্ট থেকে বাইরে চলে যেতে হয়।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলির দুরন্ত ইনিংস
তবে প্রথম ম্যাচে বিরাট কোহলির ইনিংসের চর্চা আজও চলছে, কেনোই বা চলবে না ! হ্যারিস রউফ ( Haris Rauf ) যিনি পাকিস্তানের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বোলার ছিলেন এই বিশ্বকাপে, তার বলে যে দুটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন বিরাট কোহলি তা সহজেই না ভোলার মত, ওই দুটি ছক্কা না আসলে হয়তো অনেক আগেই ভারতকে বিশ্বকাপের মঞ্চ থেকে বিদায় নিতে হতো। এমনকি বিরাট কোহলি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওই ইনিংসটিকে তার সর্বকালের সেরা টি-টোয়েন্টি ইনিংস বলে বিবেচিত করেছেন, শুধু তিনি নন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরাও ওই ইনিংসটাকে খুবই গুরুত্ব প্রদান করেছেন।
বিরাট কোহলি একজন সেরা মানের প্লেয়ার
মাত্র ৮ বলে যখন ২৮ রানের প্রয়োজন তখন বিরাট কোহলি হ্যারিস রউফের বলে তার মাথার উপর দিয়ে একটি ব্যাকফুট পাঞ্চ করেন যেটা ছিল এই ম্যাচের সেরা শট। বলা যেতে পারে টুর্নামেন্টের সেরা শর্ট ছিল ওটিই এবং ওই ওভারের শেষ বলে বিরাট কোহলি একটি ফ্লিক করেছিলেন যেটিও দুরন্ত ছক্কা হয়েছিল। এই দুটি ছক্কা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন হ্যারিস রউফ, তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করে বললেন, “ওই দুটি ছক্কা হাঁকানো অতটা সহজ ছিল না। আমি মনে করি না অন্য কোন প্লেয়ার ওইরকম ছক্কা মারার ক্ষমতা রাখেন, যদি দীনেশ কার্তিক বা হার্দিক পান্ডিয়া আমাকে ওইভাবে ছক্কা মারতো তাহলে আমি খুবই আঘাত পেতাম , কোহলি একজন সেরা ব্যাটসম্যান, তিনি ঐদিন অন্যরকম ভূমিকায় ব্যাটিং করছিলেন এতে আমি কিছুই মনে করিনি।”
পরিকল্পনা ভঙ্গ হয় রউফের
শেষ ওভারে মোহাম্মদ নওয়াজের জন্য ২০ রান রাখার চেষ্টা করেছিলেন হ্যারিস রউফ, তবে সেটি করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন। এই বিষয়ে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, “আমি বুঝতেই পারেনি কোহলি আমাকে ওই বলটাতে কিভাবে ছক্কা মারবে, সে পরস্পর দুটি ছয় মেরেছিল , যেটি আমার সমস্ত পরিকল্পনাকে ভেস্তে দিয়েছেন, ভারতকে জিততে শেষ ১২ বলে প্রয়োজন ছিল ৩১ রান। আমি প্রথম চার বলে মাত্র তিন রান দিয়েছিলাম , আমি জানতাম শেষ ওভারে নাওয়াজ বোলিং করবেন এবং তিনি একজন স্পিনার অর্থাৎ আমি তার জন্য ২০ রান রেখে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম এবং আমি যখন শেষ দুটি বল করছিলাম আমি চেয়েছিলাম স্লো বল করতে, যেহেতু বাউন্ডারি গুলি খুব বড় ছিল, তাতে আউট হওয়ার একটি সম্ভাবনা থাকতো , কিন্তু আমার পরিকল্পনা সেদিন কাজে দেয়নি।”