ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে প্রথম থেকেই প্রশংসনীয় লড়াই করেছে ভারতীয় দল (IND vs ENG)। নতুন অধিনায়ক হিসেবে শুভমান গিলের (Shubman Gill) ভূমিকা দলকে নতুন দিশা দেখিয়েছে। কিন্তু এর সত্ত্বেও ভারতীয় দল বর্তমানে চলতি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে। চতুর্থ টেস্টে জয় তুলে নিতে না পারলে আরও একটি লাল বলের সিরিজ হারবে ব্লু ব্রিগেডরা। এর মধ্যেই টেস্ট ক্রিকেটে প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের (Gautam Gambhir) কৌশল নিয়ে একাধিক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ প্রশ্ন তুলেছেন। এবার হরভজন সিং (Harbhajan Singh) গম্ভীরকে লাল বলের কোচের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত বলে জানালেন।
Read More: গম্ভীরের অপছন্দের তালিকায় এই ক্রিকেটার, ফর্মে থাকা সত্ত্বেও পাচ্ছেন না সুযোগ !!
টেস্টে ব্যর্থ কোচ গম্ভীর-

রাহুল দ্রাবিড়ের (Rahul Dravid) পর ভারতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। তার তত্ত্বাবধানে ভারতীয় দল এই বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (CT 2025) জয়লাভ করেছে। টি-টোয়েন্টি সিরিজগুলিতেও গম্ভীরের কৌশলে মুগ্ধ হয়েছেন ভক্তরা। এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকা কোচ থাকাকালীন ভারতীয় দল টি-টোয়েন্টিতে ১৩ ম্যাচে জয় পেয়েছে এবং ২ টি ম্যাচে পরাজিত হয়েছে। শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০ ওভারের সিরিজ জয় করেছে ব্লু ব্রিগেডরা।
অন্যদিকে ভারতীয় দল গম্ভীরের (Gautam Gambhir) তত্বাবধানে এখনও পর্যন্ত ১১ টি ওডিআই ম্যাচের মধ্যে ৮ টিতে জয়লাভ করেছে এবং ২ টিতে পরাজিত হয়েছে। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে এই পরিসংখ্যান একেবারেই ভালো নয়। লাল বলের ক্রিকেটে গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir) কোচ থাকাকালীন ভারতীয় দল ১৩ টি টেস্টের মাধ্যে ৪ টিতে জিতেছে এবং ৮ টিতে হারের সম্মুখীন হয়েছে। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর ব্লু ব্রিগেডরা বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১-৩ ব্যবধানে পরাজিত হয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে।
টেস্টে আলাদা কোচ চাইলেন হরভজন-

বর্তমানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতীয় দল ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-২ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পর হরভজন সিং (Harbhajan Singh) টেস্টে আলাদা কোচ আনার জন্য আবেদন করলেন। তিনি সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমার মনে হয় সাদা বলের ক্রিকেটে এবং লাল বলের ক্রিকেটে আলাদা কোচ রাখা উচিত। আমি মনে করি যদি এটি বাস্তবায়ন হয় তাহলে এতে কোনও ভুল নেই। আমাদের বিভিন্ন দল এবং বিভিন্ন ফরম্যাটের জন্য আলাদা খেলোয়াড় আছে। ফলে বিকল্প কোচ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা যেতে পারে। এতে প্রধান কোচ সহ সকলের কাজের চাপ কমবে।
একজন কোচের কোনো সিরিজের জন্য প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টেস্টের পর ইংল্যান্ডে, তারপর অন্য কোথাও। একজন কোচকে সময় নিয়ে প্রস্তুত হতে হয়। সাদা বলের কোচের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। সারা বছর ধরে যদি একজন কোচ ভ্রমণ করেন তাহলে পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় এবং কাজের চাপ বৃদ্ধি হয়। ফলে লাল বলের কোচিং এবং সাদা বলের কোচিং ভাগ করা একটি ভালো পদক্ষেপ হবে বলেই মনে হয়।”