অবশেষে সিংহের ঘুম ভেঙেছে এমন টাই ভারতীয় দর্শকেরা মনে করছেন বিরাট কোহলির ফর্ম দেখে। দুরন্ত ছন্দে ব্যাটিং করছেন বিরাট কোহলি। গত তিন বছর ধরে সেঞ্চুরি করতে পারেনানি বিরাট। ২০১৯ সালে পিঙ্ক বল টেস্টে শেষবারের মতো শতরান করেছিলেন বিরাট। তারপরে বিগত ২০২২ সালে এশিয়া কাপের মঞ্চে তিনি তার ৭১ তম সেঞ্চুরিটি সম্পন্ন করলেন। এশিয়া কাপের প্রথম থেকেই তাকে সঙ্গে দেখা যাচ্ছিল, এশিয়া কাপের মঞ্চে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে শত রান করার পরে তিনি অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন, সেই ফর্ম তিনি বজায় রাখলেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিরাটের লড়াকু ইনিংস
চাপ নিয়ে কিভাবে খেলতে হয় তা হয়তো বিরাট ছাড়া কেউ জানেন না। লোকেশ রাহুল আউট হওয়ার পরেই ব্যাটিং করতে আসেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তিনি পিচের এক এন্ড থেকে অন্য এন্ড এর ব্যাটসম্যানদের আউট হতে দেখছিলেন। একে একে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান রোহিত শর্মা, সূর্য কুমার যাদব এবং অক্ষর প্যাটেল। পরিস্থিতি অনেকটাই খারাপের দিকে যাচ্ছিল কিন্তু হার্দিক পান্ডিয়াকে সঙ্গী করে ৫৩ বলে ছটি চার এবং চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে ৮২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন বিরাট কোহলি, তার এই ইনিংস দেখে ক্রিকেট মহলে আবার সেই আলোড়ন তৈরি হয়েছে।
Read More: কোহলি নন, বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় যজুবেন্দ্র চাহাল, শামসি’র মন্তব্যে ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায় !!
তবে বিরাট এর ইনিংস থেকে খুশি হননি প্রাক্তন পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ আসিফ। মোহাম্মদ আসিফ বেশ কিছু বছর ধরে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটিভ আছেন। বিভিন্ন বিষয়ে নিজের মতামত পেশ করে থাকেন ভারতীয় খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে তিনি নানা ধরনের কথা বলে থাকেন যার ফলে সোশ্যাল মিডিয়াতে তাকে প্রায়শই ট্রোলের স্বীকার হতে হয়। ঠিক আবার তিনি বিরাট কোহলি কে সমালোচনা করলেন
বিরাট কোহলির ফিটনেস
মোহাম্মদ আসিফ মনে করেন ফিটনেস আছে বলেই বিরাট কোহলি টিকে আছেন না হলে সে এতদিন ক্রিকেট খেলতে পারত না। এই বিষয়ে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেছেন, “বিরাট কোহলি বটম হ্যান্ড প্লেয়ার, বাবার আজম বা শচীন টেন্ডুলকারের মতো আপার হ্যান্ড প্লেয়ার নন। ওনার ফিটনেস এর জন্যই উনি এখনো পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যেতে পারছেন। আবার যখন তার খারাপ সময় আসবে সেখান থেকে তিনি আর বার হতে পারবেন না।”
শচীনের সঙ্গে বিরাটের তুলনা
তিনি শচীনের সঙ্গে বিরাট কোহলির তুলনা করে বলেছেন, “অনেককেই বলতে শুনেছি শচীনের থেকে বিরাট অনেক ভালো। কিন্তু তা একেবারেই ভুল। তিনি শচীনের ধারে কাছেও নেই।” ভারতের জয়ের পর সবাই আজ কোহলির ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করছেন। তার দুর্দান্ত ইনিংসটি ভারতীয় দলকে রোমাঞ্চকর ম্যাচে একটি দর্শনীয় জয় উপহার দিয়েছে।