ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ব্যাট হাতে দারুণ ফর্মে আছেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। শ্বাসরুদ্ধকর দুইটি সেঞ্চুরিতে তিনি তাঁর সকল সমালোকদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন যারা ইংল্যান্ডের মাটিতে কোহলির অতীত রেকর্ড নিয়ে মন্তব্য করেছিল।
প্রথম দুই টেস্ট হারার পর তৃতীয় টেস্টে কোহলির দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর ম্যাচ জিতে সিরিজের নিজেদেরকে এখনো টিকিয়ে রেখেছে ভারত। এখন তাদের লক্ষ্য শেষ দুই ম্যাচ জিতে ১১ বছর পর ইংল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে রেকর্ড গড়া।
এদিকে, গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে যে, ইংল্যান্ডের মাটিতে দীর্ঘ ক্রিকেট সূচির পর কিছুদিনের জন্য বিশ্রামে যেতে পারেন বিরাট কোহলি যার ফলে নাও খেলতে পারেন এবারের এশিয়া কাপে। এমন ভাবনাটা অনেকটা যৌক্তিকও কারণ অনেক ধরেই ব্যস্ত ক্রিকেট সূচির জন্য তেমন বিশ্রাম পাচ্ছেন না কোহলি। শেষ পর্যন্ত তিনি এশিয়া কাপে খেলবেন কিনা তা সময়ই বলে দিবে।
তবে নিম্নোক্ত দুইটি কারণ বিরাট কোহলিকে আসন্ন এশিয়া কাপ ২০১৮ খেলার জন্য অনুপ্রাণিত করতে পারে-
২.অধিনায়ক হিসেবে এশিয়া কাপ ট্রফি নেই
বিরাট কোহলি ভারত দলের পূর্ণাঙ্গ অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ২০১৬-১৭ মৌসুমের ইংল্যান্ড সফরের সময় যখন মহেন্দ্র সিং ধোনি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে এর আগেও ভারত দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। তবে ২০১৪ এশিয়া কাপে কোহলির অধিনায়কত্বে শোচনীয় পারফরমেন্স করে ভারত দল। পাকিস্তান ও শ্রীলংকার সাথে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ফাইনালের আগেই বাদ পড়ে বাড়ি ফিরতে হয় তাদেরকে।
২০১৬ সালের এশিয়া কাপে ধোনির নেতৃত্বে দারুণ ভাবে ফিরে এসেছিল ভারত। তাঁর চৌকুস অধিনায়কত্ব ভারতকে শিরোপা জিততে সাহায্য করে। ব্যক্তিগত ভাবে বিরাট কোহলির এশিয়া কাপে রেকর্ড বেশ ভালো। এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্য প্রমাণের এই লড়াইয়ে তিনটি শতক এবং একটি অর্ধশতক রয়েছে তাঁর। ৬১.৩০ গড়ে এখন পর্যন্ত ৬১৩ রান করেছেন ব্যাট হাতে।
তাই বিরাট কোহলি অবশ্যই চাইবেন নিজে অধিনায়ক হিসেবেও এশিয়া কাপ জিততে। আর ভারতের বর্তমান পারফরমেন্সে এবারই বড় সুযোগ তাঁর সামনে।
১.চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে হারের প্রতিশোধ
কোনো ভারতীয় ভক্তই ভুলতে পারবেন না চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের কাছে নিজেদের লজ্জাজনক হারের ঘটনা। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গ্রূপ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয় পেলেও ফাইনালে তাদের কাছে ধরাশায়ী হতে হয়।
জসপ্রীত বুমরাহর করা নো বলে আউট হওয়ার পর জীবন পেয়ে ম্যাচে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেন ফখর জামান যা দলকে ৩০০ রান পার করতে সাহায্য করে। ৩৩৯ রানের জয়ের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে আমিরের বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে মাত্র ৩ ওভারের মধ্যেই ভারতীয় টপ অর্ডার পরাস্ত হয়। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি এবং শিখর ধবনের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়ে পাকিস্তানের ১৮০ রানের বিশাল জয় নিশ্চিত করেন তিনি।
এবারের এশিয়া কাপ বিরাট কোহলির জন্য বড় সুযোগ পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে হারের প্রতিশোধ নেওয়ার।