২০০৮ সালে ক্রিকেটবিশ্বে বিপ্লব ঘটিয়ে পথচলা শুরু করে আইপিএল (IPL)। দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে ১৫ বছর। ২০২৩ সালে ভারতের কোটিপতি ক্রিকেট লীগ পা দিতে চলেছে ১৬ তম বর্ষে। এই ১৬ বছরে বারবার কাপের কাছাকাছি গিয়েও ট্রফি আর ছোঁওয়া হয় নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের(RCB)। কখনও ক্রিস গেইল, কখনও এবি ডিভিলিয়ার্স বা কখনও বিরাট কোহলি, স্বপ্ন দেখিয়েছেন অনেকে। কিন্তু শেষ বাধাটুকু অতিক্রম করাতে কেউ পারেন নি RCB’কে। কখনও শেষ চার বা কখনও ফাইনালেই এসে থেমে গেছে তাদের জয়রথ। ২০২২ আইপিএলের আগে সরে দাঁড়িয়েছিলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। বদলে অধিনায়ক হন দক্ষিণ আফ্রিকা’র ফাফ দু প্লেসি। নতুন অধিনায়কের তত্ত্বাবধানে শেষ চার অব্দি যেতে পারলেও ট্রফি জেতা হয় নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের। ট্রফি না জিতলেও দলের পারফর্ম্যান্সে যে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকেরা সন্তুষ্ঠ তা বোঝা গিয়েছে গত ১৫ নভেম্বর প্রকাশিৎ ‘রিটেনশন’ তালিকা দেখে। প্রায় গোটা দলকেই ধরে রেখেছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স কর্তৃপক্ষ। বাতিল করেছেন মাত্র চারজন’কে। যাঁদের ধরে রেখেছে বেঙ্গালুরু দল, তাঁদের মধ্যে অন্তত ৩ জন খেলোয়াড় রয়েছেন যাঁরা আসন্ন ২৩ ডিসেম্বরের ‘মিনি’ নিলামে অংশ নিলে হয়ত ঢের বেশী অর্থ পেতে পারতেন।
রজত পতিদার-
২০২২ আইপিএলের মেগা নিলামে প্রথমে কেউ নিতে চায় নি তাঁকে। আর আজ তাঁকে নিয়েই হতে পারত টানাটানি। কোনও ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে ধরে রেখেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু দল। অবিক্রিত রজত পতিদার’কে(Rajat Patidar) বেঙ্গালুরু ফ্র্যাঞ্চাইজি মাঝ মরসুমে বেস প্রাইস ২০ লাখের বিনিময়ে দলে নেয় লভনিত সিসোদিয়া’র জায়গায়। আর জায়গা পেয়েই যা কামাল পতিদার দেখিয়েছেন তাতে চোখ বুজে বলা যায় নিলামের হাতুড়ির তলায় গেলে ঢের বেশী অর্থ পেতে পারতেন তিনি। কলকাতা’র ইডেন গার্ডেন্সে আইপিএল নক-আউট পর্বের এলিমিনেটর ম্যাচে সটান ১১২ রানের এক চোখ-ধাঁধানো ইনিংস খেলেছিলেন পতিদার(Rajat Patidar) । শতরানের মাইলস্টোন ছুঁয়েছিলেন মাত্র ৪৯ বলে। পতিদারের শতরানে ভর করে ১৪ রানে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে সেই এলিমিনেটর ম্যাচ জিতে নেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স।পতিদারের(Rajat Patidar) দুর্ধর্ষ ব্যাটিং নজর কেড়ে নেয় সকলের। গোটা মরসুমে ৮ ম্যাচে করেন ৩৩৩ রান। ব্যাটিং গড় ৫৫.৫০। শেষ রঞ্জি সিজনেও ৬৫৮ রান করে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানসংগ্রহকারী তিনি। সদ্য ডাক পেয়েছেন ভারতীয় দলেও। আইপিএল নিলামে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেলে মধ্যপ্রদেশের এই ডান-হাতি ব্যাটারের মূল্য যে ২০ লক্ষের থেকে অনেক বেশী হত তা আন্দাজ করাই যায়।