২০০৮ সালে শুরু হওয়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ বা IPL ক্রিকেটের জগতে এনেছে বিপ্লব। ভারতের এই কোটিপতি টি-২০ লীগ ক্রিকেট আর গ্ল্যামারের দুনিয়ার মধ্যেকার ব্যবধান মুছে দিয়ে খেলা’কে আরও বেশী করে জনমানসে পৌঁছে দিয়েছে। তরুণ প্রতিভাদের দিয়েছে আত্মপ্রকাশের মঞ্চ। আইপিএলের জনপ্রিয়তাই জন্ম দিয়েছে দেশে-বিদেশে শুরু হওয়া বিগ ব্যাশ, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ, পাকিস্তানের পিএসএল বা ইংল্যান্ডের দ্য হান্ড্রেড-এর মত প্রতিযোগিতার। ভারতের আইপিএলে দেশে বিদেশের খেলোয়াড়’রা যোগদান করলেও ভারতীয় তারকাদের দেশের বাইরের লীগে খেলার অনুমতি দেয় না ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা বিসিসিআই। এই নিষেধাজ্ঞা কি তুলে নেওয়া দরকার? বাইরের দেশের জল হাওয়ায় নিয়মিত খেলে কি উপকার হতে পারে ভারতের ক্রিকেটারদের? অনেকেই বলছেন সেই কথা। টি-২০ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে হারের পর জনৈক সাংবাদিক কোচ রাহুল দ্রাবিড়’কে (Rahul Dravid) জিজ্ঞাসা করেন, ভারতীয়’রা বিবিএল (BBL) খেললে কি অস্ট্রেলিয়ার জল-হাওয়ার সাথে বেশী পরিচিত হতে পারতেন? উত্তরে কোচ যা ইঙ্গিত করেছেন তাতে স্পষ্ট যে তিনিও মনে করেন বাইরের দেশের টি-২০ লীগ খেললে উপকার’ই হবে ভারতের। আপাতত এই নিষেধাজ্ঞা তোলার কথা কিছু জানায় নি বোর্ড। তবে কি হত যদি উঠে যেত নিষেধাজ্ঞা? যে ৩ ভারতীয় ক্রিকেটারের পিছনে টাকার থলি নিয়ে দৌড়াত বিদেশী ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো, তার তালিকা রইলো এখানে।
বিরাট কোহলি-

টি-২০ ক্রিকেটে সর্বকালের শ্রেষ্ঠদের মধ্যে একজন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। বড় রান তাড়া করতে হলে, তাঁর সমকক্ষ ব্যাটার দুনিয়ায় কেউ নেই। চেজ মাস্টার কোহলি’র টি-২০ রেকর্ড রীতিমত ঈর্ষনীয়। আন্তর্জাতিক টি-২০ তে তিনি সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ১১৫ ম্যাচে ১০৭ ইনিংস খেলে করেছেন ৪০০৮ রান। ব্যাটিং গড় ৫২.৭৪। স্ট্রাইক রেট প্রায় ১৩৮ এর কাছে। আন্তর্জাতিক আঙিনায় করেছেন ১ টি শতরান এবং ৩৭ টি অর্ধশতক। এছাড়াও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও পিছিয়ে নেই তিনি। ভারতের ‘কিং কোহলি’ এখনও আইপিএল ট্রফি না জিতলেও বাইশ গজ শাসন করেছে তাঁর ব্যাট। ২০০৮ থেকে এখনও অব্দি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু দলের হয়েই শুধু খেলেছেন তিনি। ২২৩ ম্যাচে করেছেন ৬৬২৪ রান। ব্যাটিং গড় ৩৬.২। স্ট্রাইক রেট ১২৯.১৫। টি-২০ লীগে তিনি করেছেন ৫ টি শতরান। করেছেন ৪৪ টি অর্ধশতরান’ও। ২০১৬ সালে এক আইপিএল মরসুমে সর্বোচ্চ ৯৭৩ রান করেছিলেন তিনি। যা আজও সর্বকালীন রেকর্ড। কোহলি যদি বিদেশী টি-২০ লীগে খেলেন তবে ব্যাটিং পারফর্ম্যান্সের পাশাপাশি ব্র্যান্ড বিরাট’কে নিজেদের দলে সই করাতে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে চরম লড়াই শুরু হবে তা বলাই যায়।