কয়েকদিন আগেই ঘরের মাঠে জীবনের শেষ ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন ভারতের বিশ্বকাপে জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করা যুবরাজ। কিন্তু সে সুযোগ ফিরিয়ে দেন তিনি। অনেকেই ভেবেছিলেন নিজের ক্রিকেট জীবনের সায়াহ্নে পৌঁছনো এই ক্রিকেটার এবার অবসর নেওয়ার দরজায় পৌঁছে গেছেন। কিন্তু দুরারোগ্য ক্যান্সারকে হারিয়ে খেলার মাঠে ফিরে আসা যুবরাজের মনে ছিল অন্য ভাবনা। বারবার লড়াই করা এই লড়াকু ক্রিকেটার নিজেকে আরও একবার প্রমান করলেন। বেশ কিছুদিন ধরেই রঞ্জি এবং অন্যান্য ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলে ইয়ো ইয়ো টেস্ট পাস করার লক্ষ্য নিয়ে যুবি ন্যাশানাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রিহ্যাব প্রসেসের মধ্যে ছিলেন। সম্প্রতি ক্রিকেটারদের ফিটনেস সংক্রান্ত বিষয়ে উন্নতি করতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড জাতীয় দলের প্লেয়ারদের জন্য এই টেস্টের প্রচলন করেছে। যা অনেক সিনিয়র প্লেয়ারদের কাছে মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইয়ো ইয়ো টেস্ট পাশ করার লক্ষ্যে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে থাকা যুবরাজ সমালোচনার মুখেও পড়েছেন রঞ্জিতে না খেলার জন্য। যুবরাজের রঞ্জি না খেলার সিদ্ধান্তকে ভালোভাবে নেয়নি ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডও। বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী একমাত্র জাতীয় দলে নিয়মিত খেলা ক্রিকেটাররাই রঞ্জি না খেলে বিশ্রাম নিতে পারেন, যাতে তারা তরতাজা হয়ে জাতীয় দলের খেলায় অংশ নিতে পারেন।
তবে সকলকে ভুল প্রমানিত করে ইয়ো ইয়ো টেস্ট পাশ করলেন যুবরাজ সিংহ। আর সে খবর নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানালেন সাংবাদিক বিক্রান্ত গুপ্তা। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে বিক্রানৎ লেখেন, “যখন আমরা শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি২০ এবং দক্ষিণ আফ্রিকা টুরের জন্য টেস্ট দলের ঘোষণার অপেক্ষা করছি তখনই খবর এল ইয়ো ইয়ো টেস্টে যুবরাজের ক্লক ১৬. ৩। কি বলবেন বন্ধুরা?” এই মুহুর্তে ভারতীয় দলের নিয়মিত সদস্য নন যুবরাজ সিংহ। প্রসঙ্গত এ বছরের গোড়াতেই ভারতীয় দলে ফিরে এসেছিলেন যুবি। এ বছরের জুলাইতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শেষ আন্তর্জাতিক একদিনের সিরিজ খেলেছিলেন এই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান, এবং সিরিজ চলাকালীনই তৃতীয় ওয়ান ডে তে আহত হয়ে দলের বাইরে চলে যান তিনি এবং সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ সহ টি ২০ সিরিজেও খেলতে পারেন নি তিনি।
এই মুহুর্তে ভারতীয় দলে চার নম্বরে ব্যাট করার জন্য একজন স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যানের খোঁচ চলছে। এবং যুবরাজের অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে তাকে দলে জায়গা দিতে পারেন নির্বাচকরা। যদিও সুরেশ রায়নার মত একজন ব্যাটসম্যানও নির্বাচকদের নজরে রয়েছেন কিন্তু রঞ্জিতে তার ফর্ম তাকে যুবরাজের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রেখেছে। এই মরশুমে রঞ্জিতে ৫টি ম্যাচে সুরেশ রায়নার করেছেন মাত্র ১০৫টি রান এবং ৮টি মাত্র উইকেট নিয়েছেন। তাই নির্বাচকদের নজরে তিনি বেশ খানিকটা পেছনেই। তার উপর যুবরাজ ইয়ো ইয়ো টেস্ট পাশ করার ফলে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি২০ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট দলে তার ফিরে আসার সম্ভবনা প্রবল হয়ে উঠেছে এখন দেখার বিষয় যুবরাজ ফের দলে ফিরে এসে নিজের ব্যাটিং ক্যারিশ্মা দেখিয়ে দলে তার জায়গা পাকা করতে পারেন কিনা।