গোটা টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলার পর নিউজিল্যান্ডের কাছে হার।এরপর থেকেই গোটা ভারতীয় দল মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছে।শুধুমাত্র ক্রিকেটারেরাই নয় ,গত ১০ ই জুলাই ওল্ডট্রাফোর্ডে উইলিয়ামসনদের কাছে হারের রেশ এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি গোটা দেশ, রুষ্ট হয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা , সম্প্রতি তাদের একহাত নিলেন প্রাক্তন তারকা ভারতীয় অলরাউন্ডার , ২০১১ এর বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক যুবরাজ সিং।
ভারতের বিপক্ষে এদিন ২৪০ রানের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিল উইলিয়ামসনরা।আপাত দৃষ্টিতে এই স্কোরটিকে তেমন কিছু মনে না করা হলেও এই সামান্য রানের লক্ষ্যমাত্রা চেজ করতে নেমে মাত্র ১৮ রান দুরে থমকে যেতে হয়েছিল বিরাটদের।প্রথমে বোলিং করে দুরন্ত ভাবে উইলিয়ামসনদের কম রানের মধ্যে আটকে দিলে, অনেকেই মনে করেছিল বিরাটদের ফাইনালে যাওয়া টা এইবার শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।কিন্তু পরবর্তী সময়ে ট্রেন্ট বোল্ট এবং ম্যাট হেনরির বোলিংয়ের কাছে কার্যত মাথা ঝোঁকায় বিরাটরা।মাত্র পাঁচ রানে এদিন প্যাভিলিয়ানে ফিরে এসেছিলো রোহিত শর্মা, কে এল রাহুল এবং বিরাট কোহলি।
এরপর কোহলি আউট হলে ম্যাচের রেশ নিজের হাতে আনার চেষ্টা করেন দীনেশ কার্তিক।কিন্তু ২৫ বল খেলে আউট হন তিনি ও।এরপর পন্চম উইকেটে ৪৭ রান যোগ করেন ঋষভ পন্থ এবং হার্দিক পান্ডিয়া।পরবর্তী সময়ে জাদেজার ৫৯ বলে ৭৭ রানের ইনিংস ফের আরেকবার ভারতের ফাইনালে যাওয়ার আশাকে জাগিয়ে তোলে।এমনকি সুযোগ ছিলো ধোনির কাছেও, কিন্তু শেষ ওভারে গুপ্টিলের দুরন্ত থ্রো তাকে রান – আউট হতে বাধ্য করে।বিশ্বকাপ জেতার জন্য বছর চারেকের অপেক্ষার শুরু হলো ফের।
ম্যাচের পর ম্যানেজমেন্টের প্রতি দারুণ চটলেন যুবরাজ। ২০১১ এর বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকা ক্রিকেটার জানিয়েছেন , যখন দ্রুত দলের প্রথম তিন উইকেট পড়েছে, তখন সেই সময় ক্রিজে একজন এক্সপেরিয়েন্সড ক্রিকেটারকে পাঠানো অত্যন্ত জরুরী ছিলো।এক্ষেত্রে অবশ্যই বড়োসড়ো ভূমিকা পালন করে টিম ম্যানেজমেন্ট, কারন দলের একজন আদর্শ চার নম্বর খুঁজে বের করাটা তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।সব মিলিয়ে গোটা ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের উপর রুষ্ট গোটা দেশ।
এদিন যুবি প্রশ্ন তুলেছেন দলের ” গেমপ্ল্যান ” নিয়েও।পাশাপাশি কোনও রকম কারন ছাড়াই আম্বাতি রায়ডুকে অদেখা করার বিষয়টিও ভালো ভাবে নেননি তিনি।