যুবরাজ সিং আইপিএলে বেশকিছু দলের হয়ে খেলেছেন। প্রথম মরশুমে তিনি কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব দলের অধিনায়ক ছিলেন। এরপর তাকে পুণে ওয়ারিয়ার্স, আরসিবি, দিল্লি ক্যাপিটালস, সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ আর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়েও খেলতে দেখা গিয়েছিল, কিন্তু তিনি আইপিএলে কখনোই নিজের নামের অনুযায়ী প্রদর্শন করতে পারেননি। ২০১৬য় তিনি সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে আর ২০১৯এ মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে তিনি আইপিএল খেতাব জেতার গৌরবও হাসিল করেছিলেন।
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের সঙ্গে আমি মজা পাইনি
যুবরাজ সিং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ফ্রেঞ্চাইজির ম্যানেজমেন্টের উপর নিশানা সেধে বলেছেন, “কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের সঙ্গে আমি মজা পাইনি। আমি এই দল থেকে পালাতে চাইতাম। ম্যানেজমেন্ট আমাকে পছন্দ করত না। আমি ওদের যাই বলেছি তারা কখনো করেনি। আমি যেমনই দল ছাড়ি, ফ্রেঞ্চাইজি সেই সমস্ত খেলোয়াড়দের কিনে নেয়, যাদের আমি আগে কেনার জন্য বলতাম”।
আমি একই ফ্রেঞ্চাইজির হয়ে ৩-৪ বছর খেলার সুযোগ পাইনি
যুবরাজ সিং আইপিএলে নিজের ব্যর্থতার কারণ জানাতে গিয়ে বলেন, “আমি একই ফ্রেঞ্চাইজির হয়ে ৩-৪ বছর নিয়মিত খেলার সুযোগ পাইনি। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা,আর মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো খেলোয়াড়দের একই ফ্রেঞ্চাইজির সঙ্গে বেশকিছু বছর পর্যন্ত খেলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু আমার সঙ্গে তা হয়নি, আমি যে কোনো একটি দলের সঙ্গে সেটল হতে পারিনি”।
যুবরাজ খেলেছেন আইপিএলের ১৩২টি ম্যাচ
যুবরাজ সিং নিজের খেলা ১৩২টি আইপিএল ম্যাচে ২৪.৭৭ গড়ে এবং ১২৯.৭১ স্ট্রাইকরেটে ২৭৫০ রান করেছেন। আইপিএলে তিনি মোট ১৩টি হাফসেঞ্চুরি করেছেন। তার আইপিএলের সর্বোচ্চ স্কোর ৮৩। তিনি নিজের ক্ষমতার মোতাবেক আইপিএলে প্রদর্শন করতে পারেননি। যুবরাজ সিং আইপিএলে বল হাতেও ৩৬য়ি উইকেট নিয়েছেন। এর মধ্যে তার ইকোনমি রেট মাত্র ৭.৪৩ ছিল। যুবরাজ আইপিএলে হ্যাটট্রিক নেওয়ার কৃতিত্বও দেখিয়েছেন। তিনি একবার নয় বরং আইপিএলে ২বার হ্যাটট্রিক করেছেন।