প্রতিটা ক্রিকেটারেরই একটা ভিন্ন পরিচয় থাকে। কারোর পিতা, পুত্র বা স্বামী। নিজের দূর্দান্ত প্রদর্শনের মাধ্যমে দলের হয়ে জয় এনে দেওয়ার পাশাপাশি সে যখন সেই কৃ্তিত্ব কাউকে উৎস্বর্গ করেন, এর থেকে মধুর বিষয় আর কী হতে পারে। ফিরোজ সাহ কোটলা স্টেডিয়ামে সোমবার দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিরুদ্ধে নামার আগে নিজের ছেলের জন্য এমনই কিছু একটা করবেন ঠিক করেছিলেন কেকেআরের পাওয়া হিটার ইউসুফ পাঠান।
এদিন পাঠানের ছেলে আয়ানের জন্মদিন ছিল। অনেকের কাছ থেকেই হয়ত অনেক দামি উপহার পেয়েছে সে। কিন্তু বাবার কাছ থেকে এদিন যে উপহারটা পেল আয়ান, তা কারোর সঙ্গেই তুলনা করা যায়না।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের করা ১৬৮ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ২.৫ ওভারে মাত্র ২১ রানে তিনটি উইকেট হারিয়ে একসময় খুবই চাপে পড়ে যায় কেকেআর। বোলারদের অসাধারণ প্রদর্শনের মান রাখতে পারবেনা ব্যাটসম্যানরা, একটা সময় এমনটাই মনে হচ্ছিল। অধিনায়ক গম্ভীর, গ্রান্ডহোম ও উথাপ্পাকে হারিয়ে ক্রিজে তখন মনীষ পান্ডে ও পাঠান। দিল্লির বোলারদের কাছে নত স্বীকার না করেই পাঠান পাল্টা আক্রমন শুরু করে। মাত্র ৩৯ বলে ৫৯ রান করে কেকেআরের জয়ের ভিত তৈরি করে দিয়ে যান পাঠান। ৬টি বাউন্ডারি ও ২টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্য তিনি এই রান করেন ১৫১.২৮ স্ট্রাইক রেটে। পাঠানের এই ইনিংস খেলার পর মনীষ জয় এনে দেন কেকেআরকে।
মাঠে নামার আগেই সম্প্রচারকারি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে পাঠান বলেছিলেন, “আজ আমার ছেলে আয়ানের জন্মদিন। ভাল একটা ইনিংস খেলে ওকে উৎস্বর্গ করতে চাই।” গম্ভীর উথাপ্পাদের দ্রুত আউট হয়ে যাওয়ায় পাঠানের কাছে সেই সুযোগ ছিল। এবং তিনি সেটা যথোপযুক্তভাবেই কাজে লাগিয়েছেন। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, “এই উপহার দেওয়ার জন্য আল্লাহকে ধন্যবাদ জানাই। শুভ জন্মদিন আয়ান।”
ছেলে হওয়ার পরেই পাঠানের জীবনের অভিমুখ বদলেছে। এমনটাই জানালেন তিনি। আরও বলেন, “আরও দুবছর আগে বিয়েটা করলে ভাল হোত।” সন্তানই ইউসুফের ভাগ্য ফেরানোর চাবিকাঠি, তা তাঁর কথাতেই পরিস্কার। আগামী দিনে আয়ান, ইউসুফের আরও সৌভাগ্য নিয়ে আসুক এটাই কামনা করা যাক।