বিজয় হাজারের পাশাপাশি কেকেআরে ভাল প্রদর্শন করাই মূল লক্ষ্য ইউসুফ পাঠানের 1
ইউসুফ পাঠান

বিজয় হাজারে ট্রফিতে পাঠান ভাইদের দারুণ খেলার দাপটে ইতিমধ্যেই সেমিফাইনালে পৌঁছেছে বরোদা। দারুণ ফর্মে থাকা কর্ণাটককে হারিয়ে তাক লাগিয়েছে, মোটামুটি ফর্মে থাকা বরোদা। ছোট ভাই বরোদার অধিনায়ক ইরফান পাঠান জুনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে অনুশীলনে ব্যস্ত। সেই জায়গায় বড় ভাই ইউসুফের লক্ষ্য কী? তা নিজের মুখেই জানালেন ইউসুফ।

ক্রিকেট থেকে রাসেলের নির্বাসনের মেয়াদ বাড়ল আরও এক বছর

প্রথম দিকে কয়েকটা ম্যাচ খেলতে না পারলেও, বিজয় হাজারে ট্রফির পরের দিকে বেশ ভাল ফর্মে দেখা গিয়েছে ইউসুফকে। ব্যাটে ভাল রান আসায় তাঁকে বরোদার অশ্বমেধের ঘোড়া ছোটানোর অন্যতম নায়ক বলাই যায়। তাই আপাতত বিজয় হাজারে ট্রফিতে ভাল খেলতে চান তিনি। এর পরের মিশনটা অবশ্যই আইপিএল। ইউসুফ বলেন, “আমি প্রথম দিকে বরোদার হয়ে কয়েকটা ম্যাচ না খেললেও পরের দিকে আমার ব্যাটে রান এসেছে। আইপিএলে আমি বহুদিন ধরেই কেকেআরের সঙ্গে যুক্ত আছি। এবছরও কেকেআরের হয়ে ভাল প্রদর্শণ করাটাই আমার মূল লক্ষ্য।”

শুধুমাত্র অধিনায়কই নন, দলের মেন্টরের ভূমিকাও পালন করছে ইরফান পাঠান

কর্ণাটকের সঙ্গে জেতার পর ডানহাতি এই পাওয়ার হিটার ব্যাটসম্যানের কাছে বেশকিছু প্রশ্ন করে ভারতীয় এক সংবাদপত্র। সেখানেই উঠে আসে ইউসুফের বর্তমান ও ভবিষ্যত পরিকল্পণা। কে এল রাহুল ও করুন নায়ার ছাড়াও কর্ণাটকের দল বেশ শক্তিশালী। কীভাবে হারানো সম্ভব হল এমন একটা দলকে? পাঠান জানায়, “রবীন উথাপ্পা ও মায়াঙ্ক আগরওয়াল ওদের ইনিংসটা ভালই শুরু করেছিল। ১০ ওভারে ৬০-৭০ রান করে বেশ মজবুত ভিত তৈরি করেছিল। তবে পরে আমাদের লুকমান মাড়িওয়ালা ও অতিত শেঠের কিছু উইকেট নিয়ে নেওয়ায় আমারা আবার ম্যাচে ফিরি। ভাল বল ও অধিনায়ক ইরফান পাঠানের জন্যই আমরা এই ম্যাচ জিতেছি।”

এই বছরের প্রথম দিকে ইউসুফের বিদেশি এক লিগে খেলার প্রস্তাব আসে। হংকং ব্লিটসের হয়ে খেলার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু বিসিসিআই খেলার ছাড়পত্র না দেওয়ায়, হংকং ব্লিটসে যোগ দেওয়া হয়নি ইউসুফের। কিন্তু তাহলেও বিশেষ আক্ষেপ নেই তাঁর। তিনি বলেন, “আমার কোনও অনুতাপ নেই হংকং ব্লিটসে যোগ না দিতে পারার জন্য। অতীতের এই বিষয় নিয়ে চিন্তা না করে আমি এখন ভবিষ্যতের লিগ ও ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচগুলি নিয়েই ভাবছি।”

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *