দিল্লির বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালের সকালে বাংলার জন্য দুঃসংবাদ বয়ে নিয়ে এল ঋদ্ধিমান সাহার জ্বর। জ্বরের কারণেই এই ম্যাচে খেলতে পারবেন না তিনি। ঋদ্ধিকে বিসিসিআইকে রঞ্জি খেলার অনুমতি দিয়েছিল যাতে দক্ষিণ আফ্রিকার কঠিন সফরের আগে তিনি ম্যাচ প্র্যাকটিস পেতে পারেন। কিন্তু জ্বরের কারণে দলের বাইরে চলে যাওয়া বাংলা দল এবং সাহা দুজনের কাছেই বড়ো আঘাত। ঋদ্ধির অনুপস্থিতিতে বাংলা দলে শ্রীবৎস গোস্বামী তার জায়গা ফিরে পেলেন। ঋদ্ধির কারণেই তার দল থেকে বাদ পড়া এক প্রকার নিশ্চিত ছিল, কিন্তু তিনি ফের একবার নিজেকে প্রমান করার সুযোগ পেলেন। যদিও এই ম্যাচে বাংলা শামিকে দলে পাচ্ছে। ভিভিএস লক্ষণ এই ম্যাচের আগের সন্ধ্যাতেই বাংলার টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন এবং সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলী ম্যাচের দিনই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। তা সত্ত্বেও ঋদ্ধির অনুপস্থিতি বাংলা দলের কাছে একটা বড়ো আঘাত।
অন্যদিকে অনেক বিভ্রান্তর মধ্যেও কর্নাটকের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে বিদর্ভ দলের প্রথম একাদশে জায়গা পেয়েছেন উমেশ যাদব। যদিও এই ম্যাচের আগের সন্ধ্যে পর্যন্ত বিদর্ভ কোচ এবং টিম ম্যানেজমেন্ট জানতেনও না উমেশকে দলে পাওয়া যাবে কিনা। এবং ম্যাচের দিনই সকালেই উমেশ যাদব সেমিফাইনাল খেলার অনুমতি পেলেন। শামি এবং ঋদ্ধির সঙ্গে তাকেও শেষ পর্যন্ত রঞ্জি খেলার অনুমতি দিয়েছে বিসিসিআই। আর অশ্বিন, মুরলী বিজয় এবং রবীন্দ্র জাদেজার মত খেলোয়াড়রা দক্ষিণ আফ্রিকার কঠিন সফরের আগে কোনো ম্যাচ প্র্যাকটিসই পাচ্ছেন না কারণ রঞ্জি সেমিফাইনালে তাদের দল কোয়ালিফাই করতে পারে নি।
দিল্লি এবং বাংলার মধ্যে এই লড়াই রঞ্জির দু’টি সেমিফাইনালের মধ্যে সবথেকে বড়ো। বাংলা অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি নিজেদের এই ম্যাচের ফেভারিট ঘোষণা করে এবং তাদের এই ম্যাচে জিত নিশ্চিত দাবী করে দিল্লির সামনে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। বাংলা দলের তুলনায় দিল্লির এই দলটি অনেক বেশি অনভিজ্ঞ। যদিও এই মরশুমে দিল্লি তাদের নিজেদের অন্যতম শক্তিশালী দল হিসেবে তুলে ধরেছে। বাংলা এবং দিল্লির মধ্যে সেমিফাইনালের খেলা অলরেডি শুরু হয়ে গেছে। এই খবর লেখার সময় পর্যন্ত ১৯ ওভারে দু’ উকেটের বিনিময়ে বাংলার রান ৫৭। দিল্লির কাছে সব থেকে বড়ো চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে নতুন বলে অশোক দিন্ডা এবং মহম্মদ শামীকে সামলানো যখন তাদের অনভিজ্ঞ ব্যাটিং লাইন আপ দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামবে।