ভিডিওঃ আইপিএলে ঋদ্ধিমান সাহার এক অসাধারণ ক্যাচ 1
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি

ক্রিকেটে ব্যাটসম্যান বা বোলার নিয়ে সবাই বেশি চর্চা করেন। কখনও কখনও ভাল ফিল্ডিং করলে সেই ফিল্ডারেরও খ্যাতি শোনা যায়। কিন্তু ব্যাটসম্যান বা বোলার পাশাপাশি কোনও ম্যাচ জিততে আরও একজনের ভূমিকা থাকে সেটা অনেকেই ভুলে যান। বলা যায় তোয়াক্কাই করেন না। এ জন্যেই ক্রিকেটের দুনিয়ায় বরাবরের নেপথ্য নায়ক উইকেটকিপার। ২০১৬ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত সেমিফাইনাল খেলতে পারত না, যদি না উইকেটকিপার মহেন্দ্র সিং ধোনি শেষ বলে দূর্দান্ত রান আউটটা করতেন। ঠিক এমনই এক অসাধারণ কীর্তি করলেন বাংলার এক উইকেটরক্ষক।

টেস্ট ক্রিকেট থেকে ধোনি অবসর নেওয়ার পর উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব কার কাঁধে যাবে সেই নিয়ে দূশ্চিন্তায় ছিলেন ভারতীয় নির্বাচকেরা। পরে পার্থিব পাটেল ও বাংলার ঋদ্ধিমান সাহার মধ্যে, ঋদ্ধিমানকেই বেছে নেওয়া হয়। সুযোগ পেয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ঘরের মাঠে শেষ টেস্ট সিরিজে নিজের কামাল দেখিয়েছে ঋদ্ধিমান। ঘরের মাঠে এক মরশুমে টেস্টে সব থেকে বেশি আউট করার নীরিখে ধোনিকেও টপকে গিয়েছেন। এবার আইপিএলে এক দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে বোঝালেন যে তিনি সীমিত ওভারের ক্রিকেটেও সমান যোগ্য।

সোমবার আরসিবি ও কিংস ইলেভেনের ম্যাচে প্রথম দিক থেকেই বেশ দুর্বল লাগছিল আরসিবির ব্যাটিং। একের পর এক উইকেট হারিয়ে আরসিবি চাপে পড়ে যায়। মনদীপ সিংহ ও এবি ডেভিলিয়ার্স যখন আরসিবির ইনিংসে গতি আনতে চাইছিলেন, ঠিক সেই সময় ধাক্কাটা দেন সাহা। ৩৪ বলে ২৮ রান করে মনদীপ তখন থিতু হয়ে গিয়েছে অনেকটাই। হঠাৎই একটা শর্ট বলে কাট করতে গিয়ে, ব্যাটের কানায় লেগে বল অনেকটা উঁচুতে উঠে যায়। তবে ভয়ের কিছু ছিল না। কারণ বলটি উইকেটকিপারের ঠিক পিছন দিকে যেখানে কোনও ফিল্ডার থাকে না সেখানেই যাচ্ছিল। ঠিক এই সময়ই আরসিবিকে কার্যত কোণঠাসা করতে একটা অসম্ভবকে সম্ভব করে ফেললেন বাংলার এই ক্রিকেটার। বলটির পিছনে ধাওয়া করে শেষ পর্যন্ত ডান পাশে ঝাঁপিয়ে ক্যাচটি নিয়ে ফেলেন ঋদ্ধিমান। সবাই চমকে যান তাঁর এই প্রয়াস দেখে।

এই ধরনের এক অসম্ভব ক্যাচ নিয়ে ৩২ বছরের এই উইকেটকিপার দেশের মধ্যে ধোনির পরে যোগ্য উইকেটরক্ষক হিসেবে নিজের জায়গা পাকা করলেন। টেস্ট সিরিজ চলাকালীনও বাংলার এই ক্রিকেটারের উইকেটকিপিং প্রশংসিত হয়েছে। এদিনও নেপথ্য নায়ক হয়েও তিনি নিজেকে প্রচারের আলোয় টেনে নিলেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *