নিউজিল্যাণ্ড আর পাকিস্তানের মধ্যে বিশ্বকাপ ২০১৯ এর ৩৩তম ম্যাচ ২৬ জুন বুধবার বার্মিংহ্যামের এজবাস্টন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা হয়েছে। এই ম্যাচে নিজেদের প্রদর্শনের সৌজন্যে পাকিস্তান দল এই ম্যাচ ৬ উইকেটের ব্যবধানে জিতে নেয়। প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যাণ্ড ২৩৭ রানের স্কোর তুলেছিল। এই লক্ষ্যকে পাকিস্তান ৪৯.১ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে হাসিল করে নেয়।
বাবর আর হ্যারিসের মধ্যে পার্টনারশিপ আমাদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়
ম্যাচ হারের পর নিউজিল্যণ্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন নিজের পোস্ট ম্যাচ প্রেজেন্টেশনে বলেন,
“আমরা আমাদের গত তিনটি ম্যাচে দেখছি যে পিচ বোলিংয়ের সহায়ক থেকেছে। ম্যাচের শুরুতে বোলাররা পিচ থেকে যথেষ্ট সাহায্য পাচ্ছিল, এই কারণে সম্ভবত আমরা পিচকে সঠিকভাবে পড়তে পারিনি। আমরা এই উইকেটে যতটা বাউন্সের ব্যাপারে ভেবেছিলাম তার থেকে অনেকগুন বেশি বাউন্স ছিল। পাকিস্তান বলকে সঠিক জায়গায় করেছে আর আমাদের ব্যাটিংকে কঠিন করে দেয়। জিমি নিশম আর ডি গ্র্যাণ্ডহোমের সৌজন্যে আমরা মাঝে যে লড়াই দিয়েছি তা দুর্দান্ত ছিল। প্রতিযোগীতা সবমিলিয়ে ভাল থেকেছে, ওদের শুরুর উইকেট নেওয়া পর্যন্ত আমরা ম্যাচে সঠিক কাজ করেছিলাম, কিন্তু বাবর আর হ্যারিসের মধ্যে পার্টনারশিপ ভীষণই দুর্দান্ত ছিল আর এটা আমাদের ম্যাচ থেকে দূরে করে দেয়”।
শাদাব খানের বল দুর্দান্ত
কেন উইলিয়ামসন নিজের পোস্ট ম্যাচ প্রেজেন্টেশনে আগে বলেন,
“শাদাব খান আমাকে যে বলে আউট করেছে তা দুর্দান্ত ছিল। ওই বলের আমার কাছে কোনো জবাব ছিল না। যদিও যখনা মরা ২৩৭ রানের স্কোর পাই তো আমাদের বিশ্বাস ছিল যে যদি আমরা কিছু শুরু উইকেট নিতে পারি তো ম্যাচও জিততে পারি, কিন্তু এমনটা হয়নি। এর শ্রেয় অনেকটাই পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের যায়”।
মিচেল স্যান্টেনার দুর্দান্ত
কেন উইলিয়ামসন নিজের পোস্ট ম্যাচ প্রেজেন্টেশনে শেষে বলেন,
“মিচেল স্যান্টেনার দুর্দান্ত ছিল। ও একজন বিশ্বস্তরীয় স্পিনার, কিন্তু কিছু ভাল বোলিং সত্ত্বেও আমাদের জন্য এই ম্যাচ বেকার হয়ে যায়। যদিও রাউন্ড রবিন ফর্ম্যাটে যখন আপনাকে এত বেশি ম্যাচ খেলতে হয় তো আপনি ১-২টি হার অবশ্যই পেতে পারেন। এখন আমাদের নিজেদের আগামি ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হতে হবে”।