লকডাউনের পর ভারতীয় দলের ক্যাম্প হবে। এই ক্যাম্পের জন্য খেলোয়াড়রাও নিজেদের বয়ানে বলেছেন আর দলের ম্যানেজমেন্টও বিসিসিআইকে শিবির আয়োজন করার কথা বলেছে। লকডাউনের পর কিছু সময়ের জন্য ভারতীয় দলের ক্যাম্প হওয়া নিশ্চিত। এর মধ্যে তারকারা নিজেদের রায় দিয়েছেন যে লকডাউনের পর ভারতীয় দলের ক্যাম্পে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ডাক হবে কী না।
টি-২০ বিশ্বকাপ হচ্ছে সম্ভবত, ধোনিকে ডাকা হতে পারে
ভারতীয় দলের প্রাক্তন নির্বাচক প্রধান এমএসকে প্রসাদ নিজের একটি বয়ানে বলেছেন, “যদি টি-২০ বিশ্বকাপ হয় তো সম্ভবত মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ডাকা হতে পারে, কিন্তু দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নিয়ে নির্বাচক কমিটি আলাদাভাবে ভাবতে পারে। আমি জানি না যে টি-২০ বিশ্বকাপ হচ্ছে কি না। যদি এটা হয় তো আপনি শিবিরকে টুর্নামেন্টের আগের প্রস্তুতি হিসেবে দেখবেন। এই অবস্থায় ধোনির নিশ্চিতভাবেই থাকা উচিৎ। যদি এটা দ্বিপাক্ষিক সিরিজের জন্য হয় তো আপনার কাছে আগে থেকেই কেএল রাহুল, ঋষভ পন্থ আর সঞ্জু স্যামসন রয়েছে”।
যদি আমি জাতীয় নির্বাচক হতাম, তো এমএস ধোনি আমার দলে হতেন
ভারতীয় দলের প্রাক্তন জোরে বোলার আশিস নেহেরা নিজের বয়ানে বলেছেন, “যদি আমি জাতীয় নির্বাচক হতাম তো এমএস ধোনি আমার দলে থাকতেন। কিন্তু বড়ো প্রশ্ন এটাই যে তিনি খেলতে চান কী না। যদিও শেষে এটাই গুরুত্ব রাখে যে ধোনি কী চান”।
অন্যদিকে হরভজন সিং নিজের বয়ানে বলেন, “আমি ওই শিবিরে সূর্যকুমার যাদব সহ তরুণ খেলোয়াড়দের দেখতে চাইব, যার মধ্যে অনুর্ধ্ব ১৯ দলের লেগ স্পিনার রবি বিষ্ণোই আর যশস্বী জয়সওয়ালও থাকবেন। ওদের সিনিয়র খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথাবার্তা বলার সুযোগ পাওয়া উচিৎ। টি-২০ দলের জন্য সূর্যকুমার যাদবের চেয়ে বড়ো অধিকারী আর কেউ নয়”।
ধোনি শিবিরের অংশ হলে অন্য উইকেটকিপাররা শেখার সুযোগ পাবেন
অন্যদিকে ভারতীয় দলের প্রাক্তন উইকেটকিপার আর ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ দীপ দাশগুপ্ত নিজের বয়ানে বলেছেন, “শিবির এক সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে আর যদি ধোনি এর অংশ হন, তো অন্য উইকেটকিপাররা তার কাছে শেখার সুযোগ পাবেন। যদি তিনি শিবিরের অংশ না হন তাও আমি ওনার দাবীদারি খারিজ করব না। উনি যদি আইপিএলে চার নম্বরে ব্যাট করে ৫০০ রান করে দেন তো আপনি ওকে উপেক্ষা করতে পারবেন না”।