ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি এই বছর এখনো পর্যন্ত ৪টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন। তিনি এই ম্যাচে ১০১.১২ স্ট্রাইকরেটে রান করেছেন। ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোটো ফর্ম্যাটে এই স্ট্রেইকরেট ভীষণই খারাপ মনে করা হয়। ৩৭ বছরের হয়ে যাওয়া এই কিংবদন্তী ফিনিশারের ব্যাটে এখন আগের মত বল আসেনা।
টি-২০তে এই খেলোয়াড়কে দলে রাখা লোকসান
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ধোনি ৩৭ বলের মুখোমুখি হয়ে মাত্র ২৯ রান করেছেন। যে ধরণের শট তিনি খেলছিলেন তাতে কোথাও তাকে আগের ধোনির মত দেখাচ্ছিল না। আগে ধোনি যখন ৩৭ বলের মুখোমুকি হতেন তো তখন তার স্ট্রাইকরেট ১৫০ উপর থাকত। এটা আমরা নয় পরিসংখ্যান বলছে।
গত পাঁচ বছরে ধোনির টি-২০তে স্ট্রাইকরেট
২০১৮ — ১৫৫.৭০
২০১৭ — ১৩৩.৪৬
২০১৬ – ১৪৯.৬৯
২০১৫ – ১২৫, এই বছর তিনি মাত্র ২টি ম্যাচ খেলেছিলেন
২০১৪ – ১৩২.৭৬
এটা তো নিশ্চিত যে ধোনি বিশ্বকাপে খেলবেন। টি-২০তে ভারতের কাছে ১৫০র বেশি স্ট্রাইকরেটে রান করা ঋষভ পন্থ মজুত রয়েছে তো ধোনির দলে থাকার কারণ বোঝা যাচ্ছেন। আমরা কি ধোনির জায়গায় কোনো একজন প্রধান ব্যাটসম্যান বা একবার প্রধান বোলার খেলাতে পারি না যার কারণে দলএ ভারসাম্য আসতে পারে?
২০২০ টি-২০ বিশ্বকাপের আগে এটা কেমন প্রস্তুতি
টি-২০ দলে আমরা তিনজন উইকেটকিপারকে প্লেয়িং ইলেভেন জায়গা দিচ্ছি। দীনেশ কার্তিক, ধোনি আর পন্থ। ২০২০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ধোনি ৩৮ বছরের হয়ে যাবেন। সেই সময় পর্যন্ত যদি আমরা এই খেলোয়াড়কে দলে রাখতে চাই তো ঋষভ পন্থ আর দীনেশ কার্তিক টি-২০ দলে কি করছেন? তার জায়গায় কেদার জাধব বা জাদেজাকে সুযোগ দেওয়া উচিৎ। যারা ব্যাটিং আর বোলিং দুটিতেই উপযোগী যোগদান দিতে পারবেন। যদি ২০২০ টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য পন্থ আপনার বিকল্প হন তো তার উপর আপনাকে বিশ্বাস দেখাতে হবে। এতি তরুণ খেলোয়াড়ের ভেতর অনেক প্রতিভা রয়েছে, কিন্তু তাকে একজন ফিল্ডার হিসেবে জায়গা দিয়ে আমরা তার আত্মবিশ্বাস নষ্ট করছি।