ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে রুদ্ধশ্বাস জয় তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড এবং এই জয় দ্বারা সিরিজ জেতার দৌড়ে টিকে থাকলো স্বাগতিকরা। ১৪৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে ইংল্যান্ড মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স হেলসের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শেষ ওভারে গিয়ে জয়ের বন্দরে পৌছে যায় ইংল্যান্ড। এর আগে দিনের শুরুতে ইংল্যান্ড বোলারদের অসাধারন বোলিংয়ে ২০ ওভারে ১৪৮ রানের মধ্যেই বেঁধে যায় বিরাট কোহলির ভারত। যদিও ভারতীয় বোলাররাও অনেক ভালো করেছিল কিন্তু শেষে গিয়ে আর রুখতে পারেনি ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানদেরকে।

টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই বড় ধাক্কার মধ্যে পড়তে হয় ভারতকে। পাওয়ার প্লেতে দলীয় ৩০ রানের মধ্যেই তিন ব্যাটসম্যানকে হারায় ভারত। ওপেনার রোহিত শর্মা আউট করেন জ্যাক বল এবং অন্য ওপেনার শিখর ধাওয়ান রান আউটের শিকার হন। এরপর কেএল রাহুলও দ্রুত আউট হয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরলে বড় ধরনের বিপদে পড়ে ভারত। তবে এরপর অধিনায়ক কোহলি ও অভিজ্ঞ মহেন্দ্র সিং ধোনির দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে ১৪৮ রান জমা করতে পারে ভারত। ৩৮ বলে চারটি বাউন্ডারে ও দুইটি ছয়ের মারে ৪৭ রান করে প্যাভিলিওয়নে ফেরেন অধিনায়ক কোহলি। কোহলি ফেরার পর হার্ডিক পান্ডিয়াকে নিয়ে ৩৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েন ধোনি। ২০ ওভার শেষে ২৪ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে এক প্রান্ত থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও অন্যপ্রান্ত থেকে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স হেলসের দুর্দান্ত অর্ধশতকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।

দেখে নিন ম্যাচ শে ষে পরাজিত দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি কি বলেছেন,
“যখন আপনি প্রথম ৬ ওভারে ৩০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারান, এমন অবস্থা থেকে ফিরে আসা খুবই কঠিন। আমি ভেবেছিলাম, পার্টনারশিপটি ১৪৫ রান পর্যন্ত যাবে এবং সেটা প্রতিযোগিতামূলক হত। উইকেটে অতিরিক্ত বাউন্স ছিল এবং ইংল্যান্ড এর সুবিধা ভোগ করেছে। প্রথম ৬ ওভারের আমরা পেছনে পড়ে গিয়েছিলাম। আমাদের পাওয়ার প্লে যথেষ্ট ভালো ছিল না এবং স্কোরকার্ডও সেটাই বলে দিচ্ছে। আপনাকে সব কিছুই বিবেচনায় রাখতে হবে। যেমন- পিচ ইত্যাদি। আমরা ভালো করেছি এবং আমরা জানতাম ইংল্যান্ডের জন্য কঠিন হবে ১৪৯ রান তাড়া করা। এবং আমি মনে করি তাদের এমন পার্টনারশিপ ছিল যার কাছাকাছি আমাদের ছিল না।”