শুক্রবার ৩১ মে আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচ ওয়েস্টইণ্ডিজ আর পাকিস্তানের মধ্যে খেলা হয়। দুজনের মধ্যে এই ম্যাচ ট্রেন্টব্রিজের মাঠে খেলা হয়েছে। যেখানে ম্যাচের শুরু ওয়েস্টইন্ডিজের টস জেতার সঙ্গে শুরু হয় আর তারা টস জিতে পাকিস্তানকে প্রথমে ব্যাট করতে আমন্ত্রণ জানায়। পাকিস্তানের দলের হয়ে প্রথম ব্যাট করা একদম সঠিক হয়নি আর দল মাত্র ২১.৪ ওভারে মাত্র ১০৫ রানে অলআউট হয়ে যায়। পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান ফখর জামান আর বাবর আজম ২২ রান করেন। অন্যদিকে ওয়েস্টইন্ডিজের হয়ে ওশেন থমাস সবচেয়ে বেশি চার উইকেট নিতে সফল হন।
ওয়েস্টইন্ডিজ দলের সামনে এই ম্যাচ জেতার জন্য মাত্র ১০৬ রানের স্কোর ছিল। দল এই সহজ লক্ষ্য ১৩.৪ ওভারে হাসিল করে আর ম্যাচ ৭ উইকেটে জিতে নিজেদের নামে করে।
আসুন এক নজর দেখে নেওয়া যাক এই ম্যাচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডসের দিক:
১. পাকিস্তান ক্রিকেট দল এই ম্যাচে মাত্র ১০৫ রানে অলআউট হয়ে যায়। একদিনের বিশ্বকাপে পাকিস্তানী দলের এটা দ্বিতীয় সবচেয়ে কম রান। এর আগে ১৯৯২তে পাকিস্তানের দল ইংল্যাণ্ডের বিরুদ্ধে অ্যাডিলেডে ৭৪ রানের স্কোরে অলআউট হয়ে গিয়েছিল।
Score | Vs | field | Sun |
74 | England | Adelaide | 1992 |
105 | West Indies | Trent bridge | 2019 |
132 | Ireland | Kingston | 2007 |
২. পাকিস্তানী দল মাত্র ২১.৪ ওভার ব্যাটিং করে আর এটা ওয়ানডেতে তাদের দ্বারা খেলা সবচেয়ে কম ওভার থেকেছে। এর আগে ওয়েস্টইন্ডিজের বিরুদ্ধেই পাকিস্তানী দল ১৯৯৩ সালে ১৯.৫ ওভার খেলতে পেরেছিল।
৩. জোরে বোলার হাসান আলির এটি ৫০তম একদিনের ম্যাচ থেকেছে।
৪. ইউনিভার্সাল বস নামে জনপ্রিয় ক্রিস গেইল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৯০০০ রান পূর্ণ করে ফেলেছেন। ওয়েস্টইন্ডিজের হয়ে এই ঐতিহাসিক উপলব্ধী হাসিল করা তিনি ব্রায়ান লারা (২২,৩৮৫) আর শিবনারায়ন চন্দ্রপালের (২০৯৮৮) পর তৃতীয় খেলোয়াড় হয়েছেন।
৫. ক্রিস গেইল একদিনের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারা খেলোয়াড় হয়ে গিয়েছিলেন। এ বিষয়ে ক্রিস গেইল এবি ডেভিলিয়র্সকে (৩৭) পেছনে ফেলে দেন। ক্রিস গেইল ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৪০টি ছক্কা মেরেছেন।
৬. পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ওয়ানডেতে এটি লাগাতার পঞ্চম হার থেকেছে। আপনাদের সকলের জ্ঞাতার্থে জানাই, যে নিজেদের গত ১২টি একদিনের ম্যাচে পাকিস্তান একটি ম্যাচ জিততে পারেনি।
৭. ক্রিস গেইল এই ম্যাচে ৫০ রান করেন। ওয়ানডেতে তার এটি লাগাতার ষষ্ঠবার ৫০+ স্কোর ছিল। ওয়ানডেতে লাগাতার ৫০+ স্কোর করা অষ্টম খেলোয়ার হয়েছেন।