রাইসিং পুনে সুপারজায়ান্টসে রবিচন্দ্রণ অশ্বিনের বদলে এল তামিলনাডুর তারকা অলরাউন্ডার ওয়াশিংটন সুন্দর।
একটানা টেস্ট সিরিজ খেলার পর ভারতের বেশিরভাগ ক্রিকেটারই হয় চোট, নয়তো ক্লান্তিতে ভুগছেন। অশ্বিনেরও সেই একই সমস্যা। স্পোর্টস হার্নিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তিনি রাইসিং পুনের হয়ে এবারের আইপিএল খেলতে পারবেন না। সামনেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তাই বোর্ডও অশ্বিনকে নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না। প্রধান এই স্পিনার না থাকায় রীতিমত চিন্তায় পড়ে যায় পুনে। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার ইমরান তাহিরকে দলে নেয় স্টিভ স্মিথ। তাহিরকে দলে নেওয়া হলেও আরও একজন ভারতীয় স্পিনার খুঁজছিল পুনে। সেই জন্যেই পারভেজ রসুল ও ওয়াশিনটন সুন্দরকে ট্রায়ালে ডেকে পাঠানো হয়।
মাত্র ১৭ বছর বয়সী অফস্পিনার সুন্দর, বিশ্বের অন্যতম ধ্বংসাত্মক ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথকে বোল্ড করেন। বেন স্টোকসও তাঁর সামনে খুব একটা বড় শট খেলতে পারেননি। এই ট্রায়ালে ধোনিকে দীর্ঘক্ষণ বল করেন সুন্দর। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক তাঁর অনেক প্রশংসাও করেন। প্রথম এই ধরনের এক হেভিওয়েট ট্রায়ালে নির্ভয় হয়ে ভাল ফল করায় প্রসন্ন হয় অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ।
রাইসিং পুনের একজন সদস্য হওয়ার পর সুন্দর বলেন, “আমি খুবই উচ্ছ্বসিত আইপিএল এর দুনিয়ায় এসে। অশ্বিন একজন বিরাট স্পিনার। তাঁর জায়গায় দলে সুযোগ পাওয়ায় আমার আরও ভাল লাগছে।”
কীভাবে রসুলের মত একজন অভিজ্ঞ বোলারকে টপকে আসতে পারলেন তিনি? সুন্দর বলেন, “ট্রায়ালে বিশেষ কোনও চাপ ছিল না। আমি ভাল বল করেছি। স্টিভ স্মিথকে বোল্ড করেছি ও বেন স্টোকসকে বোলিং দিয়ে চাপের মধ্যে রাখতে সক্ষম হয়েছিলাম। তাই আমি এই দল আসতে পেরেছি।”
ওয়াশিংটন সুন্দর লিস্ট-এ’র ন’টি ম্যাচ খেলে ৭ টি উইকেট পেয়েছেন, যেখানে তিনি প্রথম শ্রেনীর ম্যাচেও মোট ৭টি উইকেট দখল করেছেন ৫টি ম্যাচ খেলে। তবে উভয় ক্রিকেতেই তাঁর ইকোনোমি রেট বেশ চোখে পড়ার মত। প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে তাঁর ইকোনোমি রেট ২.২৩ যেখানে লিস্ট-এ-তে তাঁর ইকোনোমি রেট ৩.৯৩। আপাতত নেটের বাইরে আইপিএলের রণাঙ্গনে ওয়াশিংটন কতটা সুন্দর খেলতে পারেন সেদিকে অবশ্যই চোখ থাকবে পুনের টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে শুর করে সমর্থকদের।