গত ২ বছর ধরে ভারতের জোরে বোলিংয়ে যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। ভারতীয় জোরে বোলাররা বিদেশে গিয়েও ভারতীয় দলের হয়ে ২০টি উইকেট নিয়েছেন। জোরে বোলারদের ভালো প্রদর্শনের কারণেই আমরা অস্ট্রেলিয়াকে ইতিহাসে প্রথমবার তাদেরই দেশে হারাতে পেরেছিলাম। অন্যদিকে ওয়েস্তইন্ডিজকেও ভারত জোরে বোলারদের দুর্দান্ত প্রদর্শনের সৌজন্যেই তাদেরই দেশে হারিয়েছিল। এরই ফলাফল ভারত এখন টেস্ট ক্রিকেটে এক নম্বরে রয়েছে।
ওয়াকার ইউনিস করলেন ভারতীয় জোরে বোলারদের প্রশংসা
পাকিস্তানের প্রাক্তন জোরে বোলার ওয়াকার ইউনিস টিম ইন্ডিয়ার জোরে বোলারদের প্রশংসা করেছেন। তার মতে যে জোরে বোলারদের সন্ধান করার ব্যাপারে ভারত যথেষ্ট মেহনত করেছে আর এখন তাদের কাছে এমন বোলার রয়েছেন যারা নিয়মিতভাবে ১৪০ প্লাস গতিতে বোলিং করতে পারেন। ওয়াকার নিজের বয়ানে বলেন,
“ভারতের কাছে আগে নিয়মিতভাবে ১৪০ প্লাস গতিতে বোলিং করা ৩-৪জন বোলার একসঙ্গে ছিল না, কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। ভারতের কাছে জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ শামি, ঈশান্ত শর্মার মতো উন্নত বোলার রয়েছে, আর এটাই কারণ যে ভারত টেস্ট আর অন্য ফর্ম্যাটে ভালো প্রদর্শন করছে”।
ওয়ানডে আর টি-২০ ক্রিকেটে তরুণ বোলারদের সুযোগ দেওয়ার রণনীতি
জানিয়ে দিই যে ওয়াকার ইউনিস পাকিস্তানের বোলিং কোচও। তিনি পাকিস্তানের ক্রিকেটের হয়ে নিজের রণনীতি জানিয়ে বলেন, “আমার নীতি ওয়ানডে আর টি-২০ ক্রিকেটে সুযোগ দেওয়ার আর পরীক্ষা করার। আমরা সেই বোলারদের সুযোগ দিতে চাই, যারা ফর্মে রয়েছেন। এমনটা নয় যে আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত ভালো প্রদর্শনকারীদের উপেক্ষা করি”।
জোরে বোলারদের জন্য চ্যালেঞ্জ বেশি বেড়ে গিয়েছে
সেই সঙ্গে তিনি ব্যাটিংয়ের জন্য ক্রিকেটকে সহজ বলে জানিয়েছেন যে, “আজকাল ক্রিকেট আলাদা আর পরিণামস্বরূপ আমার মনে হয় যে জোরে বোলারদেরবদলে যাওয়া নিয়মের মোতাবেক অনেক বেশি রক্ষাণাত্মক বুদ্ধি লাগাতে হয়। ব্যাটসম্যানদের সহজ পিচ দেওয়া হয় আর তাদের ব্যাটের আকারও অনেক বেশি ভালো হয়। এই অবস্থায় নিশ্চিতভাবেই জোরে বোলারদের জন্য চ্যালেঞ্জ বেশি বেড়ে গিয়েছে”।