রাজস্থান রয়্যালস এবং দিল্লি ক্যাপিটালস, এই দুই ম্যাচেই বড় রান তাড়া করতে গিয়ে যেভাবে চেন্নাই সুপার কিংসের ব্যাটসম্যানরা ধীরগতির ব্যাটিং করছিলেন, অবাক হয়ে গিয়েছিলেন সকল ক্রিকেটপ্রেমীরা। একা ফাফ ডু প্লেসিস ছাড়া বাকি ব্যাটসম্যানদের যেন জেতার কোনও ইচ্ছাই ছিল না। এমনকি ফিনিশার মহেন্দ্র সিং ধোনিও শেষের দিকে নেমে তেমন কিছুই করতে পারেননি।
রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচে তবুও শেষের দিকে হারা ম্যাচে তিনটি ছয় মেরেছিলেন, কিন্তু দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচে তো একেবারে ব্যর্থ ক্যাপ্টেন কুল। এই নিয়ে গোটা চেন্নাই সুপার কিংস দলকে সমালোচনায় বিদ্ধ করেছিলেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া ব্যাটিং অর্ডারে ধোনির নীচে আসাকে নিয়েও সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা।
এবার আবারও মুখ খুললেন প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। এর আগে একটি সাক্ষাৎকারে সেহওয়াগ বলেছিলেন, “শেষ ওভারে ধোনির তিনটি ছয় দেখে মনে হয়েছিল যে চেন্নাই সুপার কিংস লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছেছে, কিন্তু বাস্তবে বিষয়টি একেবারেই আলাদা। মাঝের দিকে ধোনি যেভাবে একের পর এক ডট বল খেলছিল, তাতে মনে হচ্ছিল যেন ওর ম্যাচ জেতানোর কোনও ইচ্ছাই নেই।”
এবার ফেসবুক ভিডিওতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেহওয়াগ একেবারে মজার ছলে ধোনিকে সমালোচনা করে জানিয়েছেন, “যদিও ধোনি ব্যাট করতে আসেনি। এখন আমার মনে হয় মহেন্দ্র সিং ধোনি যেদিন চার নম্বরে ব্যাট করার কথা ভাববেন সেদিন বুলেট ট্রেন পেয়ে যাবে ভারতবর্ষ।”
এছাড়া চেন্নাই সুপার কিংস টিমটিকে কার্যত ট্রোল করে সেহওয়াগ বলেছেন, “মেট্রো আর রেলের মধ্যে কোনও তুলনা হয় না। কিন্তু দিল্লি ক্যাপিটালসের মত, মেট্রো কিন্তু নতুন। চেন্নাইয়ের ড্যাড আর্মির বাশি বাজিয়ে দিল দিল্লি। টি২০ ম্যাচে, পার্থের গ্রিন পিচে, যদি আপনি টেস্ট ম্যাচ দেখেন, এর থেকে তো সুরজ বার্জোতিয়ার সিনেমা দেখা ভালো। চেন্নাইয়ের ব্যাটিং অনেকটাই ওরকম হয়েছে।”
এর আগেও বীরেন্দ্র সেহওয়াগ চেন্নাইয়ের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে আওয়াজ তুলেছিলেন। ক্রিকবাজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেহওয়াগ বলেছিলেন, “আমার মনে হয় ধোনির আরও আগে ব্যাটিংয়ে নামা উচিত ছিল অথবা স্যাম কারানের আউটের পরে রবীন্দ্র জাদেজাকে নামাতে পারত। মাঝের ওভারে চেন্নাইয়ের রান রেট অনেকটাই কমে গিয়েছিল। যদি এমনটা না হত এবং শেষ ওভারে ২০-২২ রান মত বাকি থাকত, ধোনির ঐ তিনটি ছয় দেখে মানুষ বলতে পারত, বাহ কি দারুণ ফিনিশ! কিন্তু যদি শেষ ওভারে ৩০ এর বেশি রান বাকি থাকে, তাহলে ঐ তিনটি ছয় কোনও পার্থক্য তৈরি করবে না। আমার মনে হয় অন্তত কেদার যাদবের আগে ধোনির ব্যাটিংয়ে নামা উচিত ছিল। যে পরিমাণ বল কেদার যাদব খেলেছে, সেই একই পরিমাণ যদি ধোনি খেলত, চেন্নাই সুপার কিংস হয়ত এই ১৭-১৮ রানের পার্থক্যে ম্যাচ শেষ করত না।”