বিশ্ব ক্রিকেটে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার পর যদি সবথেকে বড় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়ে থাকে, তা হল ভারত ও পাকিস্তান। ভারত ও পাকিস্তানের ম্যাচে খেলা দেখবে না এমন মানুষই খুঁজে পাওয়া যাবে না। দুই দেশের ক্রিকেটারদের মনে একটি বড় চাপ থাকে এই ম্যাচকে ঘিরে। বর্তমান সময়ে যদিও ভারত ও পাকিস্তানের সিরিজ হওয়া কার্যত অসম্ভব, কিন্তু ২০০০ এর দশকে চিত্রটা অন্যরকম ছিল। দুই দেশই ছিল ক্রিকেটীয় দিক থেকে চুড়ান্ত শক্তিশালী, আর সেই সময় দুই দলের মধ্যেকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল দেখার মত।
২০০০ এর দশকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত যখনই ব্যাট করতে নামত, সকলে আশা করত যেন ওপেনার বীরেন্দ্র সেহওয়াগ দুর্দান্ত একটি শুরু দেয় ভারতকে। অধিকাংশ সময়ই তা হয়েছে, সেহওয়াগের ব্যাটে ভর করেই ভারত একাধিকবার হারিয়েছে পাকিস্তানকে। কিন্তু হারানোর পাশাপাশি পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের মনোরঞ্জনও করতেন সেহওয়াগ, আবার সেটা ব্যাটিং করার সময়ই। কিন্তু কিভাবে?
আমরা অনেকেই জানি যে ব্যাটিং করার সময় বীরেন্দ্র সেহওয়াগ গুন গুন করে গান করেন। গান করার জন্য তার মাথা ঠান্ডা থাকত এবং নিশ্চিন্ত মনে ব্যাটিং করতে পারতেন। মূলত কিশোর কুমার এবং পুরোনো দিনের হিন্দি গান গাইতেন তিনি। আর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচের সময় পাকিস্তানের এক ক্রিকেটার এসে সেহওয়াগের কাছে করেছেন গানের আবদার। এই বিশেষ কাহিনীটি শেয়ার করেছেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। ক্রিকবাজ লাইভকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেহওয়াগ এই বিষয়ে বলেছেন, “আমি যখন খেলতাম, তখন কেউই জানত না যে আমি খেলার সময় গান গাইতাম। কিন্তু ইন্ডিয়া ও পাকিস্তানের সিরিজে এরকম একটি ঘটনা ঘটেছিল। বেঙ্গালুরুতে আমি তখন ১৫০ রানে ব্যাটিং করছিল। পাকিস্তানের ইয়াসির আহমেদ শর্ট লেগে ফিল্ডিং করছিলেন। সেই সময় উনি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘বীরু ভাই, আপনি ব্যাটিং করতে করতেও গান করেন’, তখন আমি বললান, ‘হ্যাঁ নিশ্চই’। তখন ইয়াসির আহমেদ আমায় কিশোর কুমারের গান গাইতে অনুরোধ করলেন। তো আমি পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের আমার ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি আমার গান দিয়ে মনোরঞ্জন করতাম।”
যে ম্যাচটির কথা বলছেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ, সেটি ছিল ভারত ও পাকিস্তানের টেস্ট সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট। বেঙ্গালুরুতে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে, ২৬২ বলে দুরন্ত ২০১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সেহওয়াগ। যদিও তার সেই ইনিংস বিফলে যায়, কারণ সেই টেস্ট ম্যাচ ১৬৮ রানে জিতেছিল পাকিস্তান।