বিরাট কোহলির নেতৃত্বে ভারতীয় দল দুর্দান্ত প্রদর্শন করছে। তিনি নিজেও ব্যাট হাতে মাতিয়ে চলেছেন। যে কারণে বর্তমান সময়ে তিনি টেস্ট আর ওয়ানডে ক্রিকেট দুই জায়গারই এক নম্বর ব্যাটসম্যান।
বিরাট কোহলি পুরো বিদেশ সফরে স্ত্রীদের সঙ্গে রাখার দাবী জানালেন
ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি বিসিসিআইয়ের এক শীর্ষ আধিকারির কাছে বিদেশ সফরে স্ত্রীদের পুরো সফরে সঙ্গে রাখার দাবী জানিয়েছিলেন। এখন খবর পাওয়া যাচ্ছে যে বিসিসিআইয়ের শীর্ষ আধিকারিকরা এই বিষয়টি সর্বোচ্চ আদালত দ্বারা নিযুক্ত করা সমিতির (সিওএ) সামনে রেখেছে। যে সমিতিতে বিনোদ রায়, ডায়না এডুলজির মত তারকারা শামিল রয়েছেন।
বর্তমানে দু সপ্তাহ পর্যন্ত স্ত্রীদের সঙ্গে রাখার অনুমতি
প্রসঙ্গত বর্তমান নিয়ম মোতাবেক বিদেশ সফরে খেলোয়াড় এবং সাপোর্ট স্টাফেরা মাত্র দু সপ্তাহ পর্যন্ত নিজের স্ত্রীদের দলের সঙ্গে রাখতে পারেন। বিদেশ সফরে দু সপ্তাহের বেশি অনুমতি বিসিসিআই দেয় না। সূত্রের মোতাবেক সিওএ ভারতীয় দলের ম্যানেজার সুনীল সুব্রক্ষ্মনিয়ামের সঙ্গে নিয়মের বদল নিয়ে কথা বলেছেন, কিন্তু সিওএ দ্রুত এই নিয়ম নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে না। কারণ এটা বিসিসিআইয়ের নিয়মের পরিবর্তন, এইকারণে সিওএ দ্বারা এই সিদ্ধান্তকে স্থগিত করার আশা রয়েছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের ছাপা বিসিসিআইয়ের এক শীর্ষ আধিকারিকের বয়ান অনুযায়ী, “ কোহলি এই অনুরোধ কয়েক সপ্তাহ আগে করেছিল, কিন্তু এটা বিসিসিআইয়ের নিয়মের পরিবর্তন করার ব্যাপার, এই কারণে ম্যানেজারের সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে কথা হবে। এমনিতে তো বিদেশে কোহলির সঙ্গেই অনুষ্কা যাত্রা করে, কিন্তু কোহলি এখন পুরোনো শাসনকে সমাপ্ত করতে চায়, ও এক নতুন নীতির সঙ্গে স্ত্রীদের পুরো বিদেশ সফরেই খেলোয়াড়দের সঙ্গে রাখার দাবী করছে”।
স্ত্রীদের সঙ্গে রাখার কথা আগেও ক্রিকেটে হয়েছে আলোচনা
প্রসঙ্গত ক্রিকেটের প্রাক্তণ তারকারা স্ত্রীদের পুরো সফরে সঙ্গে রাখার হামেশাই আলোচনা করে থাকেন। ২০০৭ এর অ্যাসেজ সিরিজে ইংল্যান্ডের দল নিজেদের স্ত্রীদের সঙ্গেই পুরো সফরের জন্য অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিল। যাতে ইংল্যান্ড দলকে ৫-০ হারের মুখোমুখি হতেছে। অন্যদিকে এরপর যখন অস্ট্রেলিয়া দল ২০১৫য় অ্যাসেজ সিরিজে স্ত্রীদের সঙ্গে পুরো সফরে গিয়েছিল তখনও অস্ট্রেলিয়া দলকে সিরিজে হারের মুখে পড়তে হয়। অস্ট্রেলিয়ার এই হারের পর ইয়ান হিলি খেলোয়াড়দের স্ত্রীদের দোষী করেছিলেন। যদিও এরপর ডেভিড ওয়ার্ণারের স্ত্রী ক্যান্ডিস নিজের এক বয়ানে বলেছিলেন যে যদি খেলোয়াড়দের স্ত্রীরা আর বাচ্চারা তাদের সঙ্গে না থাকে তাহলে খেলোয়াড়রা অখুশি থাকেন।