করোনা ভাইরাসে পুরো বিশ্বে নিজের আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিশ্বজুড়ে এর আতঙ্ক দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও এই মহামারী ক্রিকেটকেও দারুণভাবে প্রভাবিত করেছে। সমস্ত আন্তর্জাতিক ম্যাচ বাতিল করা ছাড়াও আইপিএল ২০২০র মতড় বড়ো লীগকেও স্থগিত করে দিয়েছে। এর মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক মালহোত্রার মনে হয়েছে যে আগামী দিনে খেলোয়াড়দের স্যালারিতে কোপ পড়তে পারে।
লোকসানে বিসিসিআই
বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়ানো মহামারী করোনা ভাইরাস ক্রিকেটকেও ছাড়েনি। আইপিএলের ত্রয়োদশ সংস্করণকে স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়াও বিসিসিআসি সেই সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজকেও বাতিল করে দিয়েছে। এখন ভারতীয় ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক মালহোত্রা খেলোয়াড়দের মাইনে কাটা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেছেন,
“বিসিসিআই প্রধানত ক্রিকেটারদের দিয়ে গড়া একটা কোম্পানি। যদি কোনো কোম্পানি লোকসানে চলে, তো প্রত্যেকটি জিনিসে তার প্রভাব পড়ে। ইউরোপে, প্রায় সমস্ত ফুটবল খেলোয়াড়, বিশেষ করে যারা বেশি স্যালারি পান, তাদের স্যালারি যথেষ্ট কাটা হচ্ছে। এই বিষয়ে ঘোষণা তাদের অ্যাসোসিয়েশন করেছে। এই সবকিছুই হঠাত করেই হয়েছে, কারণ এটা একটা অপ্রত্যাশিত মহামারী। এটা ভীষণই কঠিণ সময়। এই কারণে সকলকেই নিজের নিজের পকেট থেকে চেষ্টা আর যোগদান দিতে হবে”।
কাটা হতে পারেন খেলোয়াড়দের মাইনে
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই নিজের খেলোয়াড়দের মোটা টাকা মাইনে দেয়। কিন্তু এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাসের কারণে বিসিসিআই স্বয়ং লোকসানে চলছে। আসলে এই বছরের পুরো ক্রিকেট ক্যালেন্ডারই ওলট পালট হয়ে গিএয়ছে, যে কারণে বিসিসিআই এখন খেলোয়াড়দের মাইনে কাটতে পারে। এই ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে অশোক মালহোত্রা বলেন,
“আমি জানি যে খেলোয়াড়দের মাইএ কম করা উচিত নয়, কিন্তু যদি বিসিসিআই ততটা টাকা না রোজগার করতে পারে যতটা আগে রোজগার করছিল, তো ক্রিকেটারদের নিশ্চিত ভাবেই মাইনে কাটার আশা করতে হবে”।
আইপিএলের উপর ঘুরছে বাতিল হওয়ার শঙ্কা
২৯ মার্চ থেকে শুরু হতে চলা আইপিএল ২০২০কে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের ক্রমবর্দ্ধমান বিষয়টি দেখে বলা যেতে পারে যে এই বছর আইপিএল খেলা হওয়া মুশকিল হতে পারে। কারণ সরকার ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেছে ভারতে।
এই অবসথায় আইপিএলের প্রস্তুতি কীভাবে হবে। কিন্তু যদি আইপিএল ২০২০ বাতিল হয় তো বিসিসিআইয়ের বড়ো লোকসান হতে পারে। প্রসঙ্গত ভারতে এখনো পর্যন্ত সংক্রামিত ব্যক্তির সংখ্যা পনেরোশো ছাড়িয়ে গেছে আর ৪৫জন মানুষ নিজেদের প্রাণ হারিয়েছেন।