সীমিত ওভারের সিরিজের ইতি ঘটিয়ে এবার ক্রিকেটের সব থেকে কঠিন ফর্ম্যাটে নামতে চলেছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। ইতিমধ্যেই সিরিজের শেষ তিনটি টেস্টে খেলবেন না বিরাট কোহলি, দেশে ফিরে নিজের সন্তানসম্ভবা স্ত্রী অনুষ্কা শর্মার পাশে থাকবেন তিনি। কিন্তু অ্যাডিলেডে সিরিজের প্রথম টেস্ট, যা দিন রাতের হবে, সেখানে খেলবেন বিরাট। এবং সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় দল।
যদিও সীমিত ওভারের সিরিজ থেকে সরাসরি এমন বড় ম্যাচে নামার আগে ভারতীয় টেস্ট দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়ই কয়েক দিন আগে অস্ট্রেলিয়া এ দলের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে নেমেছিলেন। সেই সময় টি২০ সিরিজ চলায় প্রস্তুতি ম্যাচে নামতে পারেননি অনেকেই। কিন্তু এবার সিরিজ শেষ হয়ে যাওয়ায় সিডনিতে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে কি নামবেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি? এই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
কিন্তু এবার এই বিষয়ে বার্তা দিয়ে দিলেন স্বয়ং ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। গত ১২ দিনে ছয়টি সীমিত ওভারের ম্যাচ খেলার পর প্রথম টেস্টে সম্পূর্ণ ফিট থেকেই নামতে চান বিরাট। আর সেই কারণে একপ্রকার পরোক্ষে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কোহলি। যদিও এই বিষয়ে দলের ফিজিওর সাথে আলোচনা করে তবে শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন কোহলি।
তৃতীয় টি২০ ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকে বিরাট কোহলিকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয় যে তিনি আদৌ দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে নামবেন কি না, সেই নিয়ে কোহলি বলেছেন, “দেখা যাক ঐ দিন আমি কিভাবে ঘুম থেকে উঠি। আপনারা জানেন, আমি কখনও অল্প অল্প করে খেলতে পারি না। এটাই আমি, আমি কখনই স্লিপে দাঁড়িয়ে কেবল মাত্র স্রোতের সাথে নিজেকে ভাসিয়ে দিতে পারব না। আমাকে সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে এবং সেই সময় নিজের দিকে দেখতে হবে। যদি আমি ভালো থাকি, আমি অবশ্যই নামব। যদি না ভালো থাকি, তাহলে আমি ট্রেনার এবং ফিজিওর সাথে কথা বলে কয়েক দিনের বিশ্রাম নিয়ে প্রথম টেস্টের আগে তরতাজাভাবে ফিরে আসব।”
এদিকে প্রথম টেস্টের আগে চোটজনিত কারণে কাউকেই বাইরে চলে দেখতে চান না বিরাট কোহলি। ইতিমধ্যেই ভারতীয় টেস্ট দল অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছে ইশান্ত শর্মা এবং প্রথম কয়েকটি টেস্টে রোহিত শর্মার অনুপস্থিতিতে। এই অবস্থায় বিরাট চাইছেন যাতে সকলেই প্রথম টেস্টে পুরো ফিট হয়েই নামুক।
এই নিয়ে কোহলি বলেছেন, “আমার মনে হয় প্রথম টেস্টে নামার আগে, আমাদের এটা মাথায় রাখতে হবে যে আমাদের খেলা এখন একটি বিশেষ পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু তার থেকেও জরুরি যে আমরা যেন প্রত্যেকে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকি। আমরা কোনওরকমের পেশিজনিত কোনও সমস্যা মেনে নিতে পারব না। এটাই আমাদের কাছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যাতে আমাদের মূল খেলোয়াড়দের ফিট রাখা যায়। এই টেস্ট সিরিজে ভালো শুরু করতে গেলে, আমাদের মাঠে ১১ জন পুরো ফিট খেলোয়াড় নামাতে হবে।”