ফের আরও একটি দুরন্ত শতরানের ইনিংস খেললেন বিরাট কোহলি।পাশাপাশি এনে দিলেন ভারতকে এক দারুণ জয়।এদিন জয়ের মারফত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ১ – ০ এগিয়ে গেলো ভারত।প্রসঙ্গত, মার্চ মাসের পর এই প্রথম শতরান এলো কোহলির ব্যাট থেকে।যা তার ৪২ তম শতরান।ইতিমধ্যে শচীন তেন্ডুলকরের আরও কাছে পৌঁছে গেলেন এই ক্রিকেট তারকা।কোহলির করা এদিন ১২৫ বলে ১২০ রানের ইনিংস ভারতকে ২৭৯ রানে শেষ করতে সাহায্য করে।

ম্যাচের শুরুটা দারুণ করেছিলো হোল্ডাররা।শুরুতেই তারা ড্রেসিং রুমে ফেরত পাঠায় রোহিত ( ১৮ ) এবং ধাওয়ান ( ২) কে।এমনকি ক্রিজে থিতু হওয়ার আগে ঋষভ পন্থকে ও।দ্রুত তিন উইকেট খুইয়ে ভারতের স্কোর দাড়ায় একসময় তিন উইকেটের বিনিময়ে ১০১।কিন্তু এরপর আর বিপক্ষের স্কোর বোর্ডে কোনও রকম প্রভাব ফেলতে পারেন নি ইন্ডিজ বোলাররা।সৈজন্যে বিরাট এবং শ্রেয়স আইয়ারের ইনিংস।ম্যাচে এই দুই ক্রিকেটার করেন যথাক্রমে ১২০ এবং ৭১ ।দুজন মিলে চতুর্থ উইকেটে যোগ করেন ১২৫ রান।ভারত ইনিংস শেষ করে ২৭৯ তে।
এদিন ম্যাচ চলাকালীন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে টপকে গেলেন কোহলি, একদিবসীয় ক্রিকেটে সৌরভের রানসংখ্যা ১১, ৩৬৩ ।শুধু তাই নয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্রুত ২০০০ রান গড়ার রেকর্ড ভারতের বর্তমান অধিনায়কের দখলে।
পরবর্তী সময়ে জবাবে ২১০ এ শেষ হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস।বৃষ্টির জন্য পরবর্তী সময়ে হোল্ডারদের টার্গেট দাড়ায় ৪৬ ওভারে ২৭০ । শুরুটা ভালোই করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার এভিন লুইস।করেন ৬৫ রান,তাকে ড্রেসিংরুমে ফেরান বিরাট এক দুরন্ত ক্যাচে।১৭৯ /৫ , একসময় এমন স্কোর লাইন থাকলেও পরবর্তী সময়ে নিকোলাস পুরান আউট হলে এরপর মাত্র তিন রানে ৪ উইকেট পরে যায় ভারতের।অর্থাৎ ১৭৯/৫ থেকে আচমকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর গিয়ে দাড়ায় ১৮২/৮ ।এরপর তাদের ইনিংস গুটিয়ে যায় ২১০ রানে।
ম্যাচের পর এদিন কোহলি বলেন, ” যা চেয়েছিলাম আজ ম্যাচে তাই হয়েছে।এদিন আমরা প্রথমেই ব্যাট করতে চেয়েছিলাম।ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস দেখলে আপনারা বুঝবেন পরবর্তী সময়ে ওদের ব্যাটিংয়ে কেমন সমস্যা পড়তে হয়েছে।আমার মনে হয় পরবর্তী সময়ে বৃষ্টির কারণে খানিকটা সাহায্য পেয়েছিলো ওরা।যদিও এমন পিচে ব্যাটিং করাটা দারুণ কঠিন।আমরা আগেই বুঝেছিলাম ২৭০ রানের উপরে পৌছাতে পারলে চেজ করাটা কঠিন হয়ে পড়বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে।ম্যাচে শতরান করায় খুব খুশী আমি।সবচেয়ে ভালো লাগছে দরকারের সময় কাজে লাগতে পারায়, কারণ আজ শুরুতে ধাওয়ান এবং রোহিতের আউট হয়ে যায়।আর প্রথম তিন ব্যাটসম্যানের একজনকে অন্তত একটি বড়ো রানের ইনিংস খেলার প্রয়োজন ছিলো।আজ আমার কাছে সুযোগ ছিলো কিছু করে দেখানোর ।”
এদিন শ্রেয়স আইয়ারের ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেলো বিরাটের গলায়, শ্রেয়সের প্রসঙ্গ উঠলে তিনি জানান, ” ও খুবই আত্মবিশ্বাসী।ম্যাচের আমার উপর তৈরি হওয়া চাপ খানিকটা নিজের কাঁধে তুলে ও নিজের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলেছে।আমি আউট হওয়ার পর কিছু বাড়তি রানো এসেছে ওর ব্যাট থেকে ” ।