গতকালই ভারত ওয়েস্টইন্ডিজের বিরুদ্ধে নিজেদের তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজকে ৩-০ ফলাফলে জিতে নিয়েছে। এরপর এখন দলের নজর একদিনের সিরিজের দিকে রয়েছে। এর জন্য বিরাট কোহলি নিজের দলের সঙ্গে শক্তিশালী হয়ে মাঠে নামতে চাইবেন। এই সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৮ আগস্ট থেকে খেলা হবে। দ্বিতীয় ম্যাচ ১১ আগস্ট থেকে আর তৃতীয় তথা শেষ ম্যাচ ১৪ আগস্ট খেলা হবে। এই ম্যাচ সন্ধ্যে ৭টা থেকে শুরু হবে। এই সিরিজের জন্য বিরাট কোহলি এই চারজন খেলোয়াড়কে দিতে পারেন প্লেয়িং ইলেভেন থেকে বাদ।
১. শ্রেয়স আইয়ার
ওয়েস্টইন্ডিজ সফরের জন্য এবার এক তরুণ ভারতীয় দল বাছা হয়েছিল, যেখানে বেশ কিছু তরুণ খেলোয়াড় ছিলেন। ১৫জন খেলোয়াড়ের এই দলে বিরাট কোহলি টি-২০তে ১৪জনকে খেলার সুযোগ দিয়েছেন। কিন্তু তাও টি-২০ সিরিজে শ্রেয়স আইয়ারকে একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। একদিনের ম্যাচে আইয়ার ৪২ গড়ে ২১০ রান করেছেন। এটা দেখার পর এই কথার কি গ্যারান্টি যে একদিনের সিরিজে তাকে প্লেয়িং ইলেভেনে সুযোগ দেওয়া হবে। শ্রেয়স আইয়ারকে চার নম্বরের খেলোয়াড় বলা হয়েছিল, কিন্তু বিশ্বকাপে বিরাট কোহলির ঘনিষ্ঠ কেএল রাহুলকে চার নম্বরে খেলানো হয়েছিল আর তিনি এই জায়গায় বিশেষ প্রদর্শনও দেখিয়েছিলেন, এই অবস্থায় আইয়ারকে দলে জায়গা দেওয়া মুশকিলই দেখাচ্ছে।
২. মনীষ পাণ্ডে
মনীষ পাণ্ডেকে টি-২০তে প্লেয়িং ইলেভেনে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, তাকে পাঁচ নম্বর স্থান দেওয়া হয়েছিল। প্রথম ম্যাচে তিনি ১৪ বলে ১৯ রান করেছিলেন। অন্যদিকে দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি ৮ বলে ৬ রান করেছিলেন। এরপর ফের তিনি তৃতীয় ম্যাচে ৫ বলে ২ রান করেন। একদিনের ম্যাচে তাকে ভারতীয় দলের ৪ নম্বরের জন্য দেখা যেতে পারে।
কিন্তু এখন তিনি ওই জায়গার জন্য সঠিক দাবীদার নন। একে তো তার টি-২০তে এমন প্রদর্শন, তারপর ঋষভ পন্থ এই সিরিজে চার নম্বরের দায়িত্ব পালন করেছিলেন, কিন্তু একদিনের ম্যাচে কেএল রাহুলকে এর দায়িত্ব দেওয়া হবে। এই অবস্থায় মনীষ পাণ্ডের জন্য কোনো জায়গা নেই। মনীষ পাণ্ডে ২৩টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন, যেখানে তিনি ৩৬.৬৭ গড়ে ৪৪০ রান করেছেন। অন্যদিকে কেএল রাহুল ৩৪টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন যেখানে তিনি ৩৫.২৮ গড়ে ১৯০৫ রান করেছেন।
৩. কুলদীপ যাদব
চায়নাম্যান স্পিনার কুলদীপ যাদবকে বিশ্বকাপের মত বড়ো ইভেন্টে দলে রাখা হয়েছিল, কিন্তু তাতে তিনি কয়েকটি ম্যাচ ছাড়া খুব একটা ভাল প্রদর্শন করেননি। যে কারণে পরের ম্যাচগুলিতে তাকে দলে রাখা হয়নি। এরপর ওয়েস্টইন্ডিজ সফরে তাকে দলে নেওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল, একদিকে তার জায়গা নেওয়ার জন্য বিরাটের কাছে যজুবেন্দ্র চহেল রয়েছেন। কুলদীপ যাদব এখনো পর্যন্ত ৫১টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন, যেখানে তিনি ২৩.৯৭ গড়ে ৯৩টি উইকেট নিয়েছেন আর ২৩টি মেডেন ওভার করেছেন।
৪. খলিল আহমেদ
২১ বছরের খলিল আহমেদ একজন জোরে বোলার। তার ওয়েস্টইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজও খুব একটা ভাল যায়নি। আর একদিনের ম্যাচের কথা ধরা হলে তিনি এখনো পর্যন্ত ৮টি ম্যাচ খেলেছেন আর তাতে ৩০.৭৩ গড়ে ১১টি উইকেট নিয়েছেন। বিরাট তার টি-২০ প্রদর্শন দেখে মুশকিলই যে তাকে একদিনের দলে জায়গা দেবেন কারণে এমনিতেও দলের কাছে নভদীপ সাইনি, মহম্মদ শামির মত দুর্দান্ত জোরে বোলার রয়েছে।