সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো ইংলিশ ক্রিকেটার অ্যালিস্টার কুক নিজেদের ঘরের মাঠে তাঁর ক্যারিয়ারের সবশেষ টেস্ট ম্যাচটি খেলে ফেলেছেন। ঘরের মাঠে দেশের হাজারো সমর্থকদের বিদায় জানানো যেন একটু আলাদা গর্বের বিষয়। অন্যদিকে ভারতীয় লিটল মাস্টার শচীন তেন্ডুলকরও ঘরের মাঠ মুম্বাইয়ে খেলেছিলেন বিদায়ী টেস্ট।
আজকে এমন পাঁচজন গ্রেটদের কথা জানবো যারা তাঁদের বিদায়ী টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন কিছুটা নিভৃতেই-
১. রাহুল দ্রাবিড়

সর্বকালের সেরা এই ব্যাটসম্যান টেস্ট ক্রিকেটে জন্ম দিয়েছেন বিষ্ময়কর অনেক রেকর্ডের। ২০১২ সালের জানুয়ারিতে অ্যাডিলেইডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্রাবিড় তাঁর শেষ টেস্ট ম্যাচটি খেলেন। এর কয়েকমাস পরই ২০১২ সালেই ক্রিকেটকে বিদায় জানান এই গ্রেট।
অবশ্য এভাবে ম্যাচ খেলা থেকে দূরে সরে গেলেও ক্রিকেট থেকে দূরে যাননি তিনি। ভারতীয় অনুর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ হিসেবে রাহুল নিয়োগ পাওয়ার কারণে নতুন তারকা তৈরি করার দিকে মনযোগ দিতেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান দ্রাবিড়।
২. ভিভিএস লক্ষ্মণ

শৈল্পিক ব্যাটিংয়ের জন্য বিখ্যাত লক্ষ্মণ একা হাতে ব্যাট চালিয়ে টিম ইন্ডিয়াকে দিয়েছেন বহু ম্যাচ জয়ের স্বাদ। ৬ নাম্বার পজিশনে ব্যাট করে ম্যাচকে মসৃণ ফিনিশিং করার দক্ষতা ছিল লক্ষণের। তাঁর বিদায়ের পর এই পজিশনের জন্য যোগ্য কোন উত্তরসূরি এখনো খুঁজে পায়নি ভারত।
রাহুল দ্রাবিড়ের সাথেই ২০১২ সালের জানুয়ারিতে অ্যাডিলেইডে একই ম্যাচ খেলার পর আর সাদা পোশাকে ম্যাচ খেলতে নামেননি লক্ষ্মণ। তবে এই দুই গ্রেটের বিদায় যে আরো একটু রঙিন হতে পারত সেটা কাম্য ছিল ক্রিকেট ভক্তদের।
৩. বীরেন্দ্র সেহবাগ

বিশ্বের সেরা বোলিং লাইনআপকে গুঁড়িয়ে দেয়ার সামর্থ্য নিয়ে মাঠে নামা সেহবাগ রেড বলের ক্রিকেটে ৮২ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৮৫৮৬ রান। এই স্ট্রাইক রেটে টেস্ট ক্রিকেটে যেকোনো ব্যাটসম্যানের জন্যই রান করা কষ্টসাধ্য।
সেহবাগ শেষবার সাদা পোশাক গায়ে জড়ান অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০১৩ সালের মার্চে। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ২০ অক্টোবর তাঁর জন্মদিনে ক্রিকেটের সব ফরম্যাটকে বিদায় জানান ওপেনিং এই ব্যাটসম্যান।
৪. জহির খান

কারো কারো মতে ভারতের সর্বকালের সেরা পেস বোলার ছিলেন জহির খান। প্রতিভাবান এই বোলার ইয়র্কার, লেগ কাটার, ইন সুইং দিয়ে ব্যাটসম্যানকে ভরকে দিতেন সহজেই। ডানহাতি এই বোলার ৫ দিনের ক্রিকেটে নিজের শেষ ম্যাচটি খেলেন ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ২০১৫ সালের ১৫ অক্টোবর টেস্ট ক্রিকেট থেকে নিজের নাম সরিয়ে নিতে অবসরের ঘোষণা দেন তিনি।
৫. মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন

ব্যাট হাতে বোলারদের তুলোধুনা করার দায়িত্বটা বেশ ভালভাবেই পালন করতেন হায়দ্রাবাদের এই ব্যাটসম্যান। যেকোনো পরিস্থিতিতেই দলের রানের চাকা সচল রাখতে পারতেন এই ডানহাতি। তবে ফিক্সিংয়ের মত কলঙ্কিত কাজে জড়িয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জার্সিখানা তুলে রাখতে হয় ৯৯টি টেস্ট ম্যাচ খেলেই। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বেঙ্গালুরুতে ২০০০ সালে তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটি খেলেন তিনি।