প্রত্যেকের জীবনেই সমস্যা আসে, ক্রিকেটারেরাও তার ব্যতীত নয়।আলো – রোশনাই ভরা বর্নময় কেরিয়ারের পাশাপাশি তাদেরও মাঝে মধ্যে মুখোমুখি হতে হয় জীবনের নানান প্রতিকুলতার সাথে।কখনও তা শারীরিক আবার কখনও তা মানসিক।কিন্তু এখানেও তারা সেই একই রকম মানসিক দৃঢ়তার পরিচয় দেয়, যেমনটা তারা দেখায় বাইশ গজে, আজ এমনই পাঁচ তারকা ক্রিকেটারের কথা উঠে আসতে চলেছে স্পোর্টজ উইকি’র পাতায়।
৫. মাইকেল ক্লার্ক
২০০৬ সাল। স্কিন ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন মাইকেল ক্লার্ক।যার জন্য বেশ কিছু দিন মাঠের বাইরে কাটাতে হয়েছিল তাকে।যদিও পরবর্তী সময়ে এই বিষয়টি তাকে কোনও রকম সমস্যার মাঝে ফেলেনি , তবুও চিকিৎসার পর মাঠে তাকে দেখা যেতো ” ফ্লপি হ্যাট ” পড়ে খেলতে , মুখশ্রীতে যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয়।এরপর দেশের অধিনায়ক হয়েছিলেন এই তারকা অজি ব্যাটসম্যান।টেস্টে দেশকে সাফলতা এনে দেওয়ার পাশাপাশি দেশকে এনে দিয়েছিলেন বিশ্বকাপ ।
৪.ম্যাথু ওয়েড
মাত্র ১৬ বছর বয়সে দুর্ঘটনাবশত ” টেস্টিকুলার ক্যান্সর ” এ আক্রান্ত হয়েছিলেন তারকা অজি ক্রিকেটার ম্যাথু ওয়েড।একবার একটি ফুটবল ম্যাচে মারাত্মক চোট পেলে চিকিৎসা চলাকালীন ডাক্তারের মারফত সেই খবর জানতে পারেন ওয়েড।যা তার পরিবারের সমস্ত রকম হাসি- খুশী মুহূর্তে অন্ধকারে পরিনত করেছিলো।এরপর দুই পর্যায়ে চলে তার ক্যান্সারের চিকিৎসা।এমন কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার পরবর্তী সময়ে ফের জাতীয় দলে সুযোগ পান ওয়েড।২০১১ তে অস্ট্রেলিয়ার টি টোয়েন্টি দলে সুযোগ পান ওয়েড।পরবর্তী সময় সুযোগ পান একদিবসীয় ক্রিকেট দলে।যেখানে এখনো সুনামের সাথে খেলে চলেছেন এই অজি ব্যাটসম্যান।
৩. এ্যন্ড্রু ফ্লিন্টফ
ইংল্যান্ডের ল্যাঙ্কাশায়ারে বেড়ে ওঠা ফ্লিন্টফের খুব শীঘ্রই নাম হয়ে ওঠে ঘরোয়া ক্রিকেটে।সেই সুবাদে ১৯৯৮ সালে সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক হয় তার।কেরিয়ারের শুরুটা ভালো না হলেও প্রথম টেস্ট উইকেট হিসেবে জ্যাক কালিস কে তুলে নিয়ে সকলের নজর কারেন এই তারকা ইংল্যান্ড ক্রিকেটার।এমনকি সেই ম্যাচ জিতে নিয়ছিলো ইংল্যান্ড।একবার তাকে প্রচণ্ড মদ্যপ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় সেন্ট লুসিয়ায় একটি বোর্ড থেকে এই কারণে পরবর্তী সময়ে তাকে হারাতে হয় দেশের সহ অধিনায়কত্বের দায়িত্ব।সেইদিন ফ্লিন্টফের অবস্থা এমনটা হয়েছিল যে জলে ডুবে বিপত্তি হতে পারতো তার।
২. জেসে রাইডার
একবার প্রায় মৃত্যুর মুখোমুখি পৌছে গেছিলো নিউজিল্যান্ডের এই তারকা ক্রিকেটার।ছিলেন কোমায়।আইসিউ তে ছিলেন । ক্রাইস্টচার্চে সাউথ আইল্যান্ড সিটির একটি বারে তার উপর চরাও হয় কয়েকজন দুস্কৃতি এবং এপক্ষেত্রে মাথায় এবং ফুসফুসে দারুণ ভাবে আঘাত পান তিনি।পরবর্তী সময়ে গ্রেফতার হন তারা।সেই সময় প্রায়শই মদ্যপান ঘটিত বিভিন্ন ঘটনার দরুন খবরের শিরোনামে উঠে আসতেন রাইডার।এমন ঘটনার পর ফের ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন তিনি স্বমহিমায়।
১. যুবরাজ সিং
৩৬২ টি রান এবং ১৫ টি উইকেট, ২০১১ এর বিশ্বকাপ দেশকে এনে দিতে কোনও কসুর ছাড়েননি যুবরাজ সিং।সেই দিন ম্যাচ শেষে গোটা দেশ যখন তীব্র আনন্দে মেতেছে ততক্ষনে মারন রোগ বাসা বেঁধেছে তার শরীরে।শ্বাস নিতে কষ্ট, ঘুমাতে অসুবিধা এমন বিক্ষিপ্ত নানান সমস্যা বিশ্বকাপ শুরুর আগের থেকেই লক্ষ্য করেছিলেন।পরবর্তী সময়ে ক্যান্সার ধরা পড়ে যুবির।চিকিৎসার পর ২০১২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি টোয়েন্টি ম্যাচে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি।এরপর বেশ কিছু বছর প্রথম ১১ তে যুবিকে দেখা গেলেও পরবর্তী সময়ে প্রাসঙ্গিকতা হারান দল থেকে।যদিও মারন রোগের সাথে তার লড়াইয়ের গল্প এখনো সর্বজনবিদীত।