সর্বশেষ এশিয়া কাপ আসরের ফাইনাল জিতে এই অঞ্চলের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট মাথায় পরেছে ভারত। দলের নিয়মিত কাপ্তান কোহলি বিশ্রামে থাকায় নির্বাচকরা এই দায়িত্ব অর্পণ করেন রোহিত শর্মার কাঁধে। আর দায়িত্ব পেয়ে দলকে নিজের সেরাটা দিয়ে ট্রফি জয়ে রোহিতের ভূমিকাও ছিল বেশ প্রশংসনীয়। অন্যদিকে এই সুযোগে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ছোটখাটো ঝড় উঠেছিল ওয়ানডে ফরম্যাটে কাপ্তান হিসেবে রোহিত শর্মাকে নির্বাচিত করার ব্যাপারে। তবে কাপ্তান হিসেবে কোহলির চেয়ে রোহিত কতটা পিছিয়ে কিংবা পিছিয়ে থাকার কারণগুলোই কী? জেনে নেয়া যাক এই সম্পর্কে।
৩। রোহিত শর্মার চেয়ে বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ ক্রিকেটার কোহলি
গত ৬-৭ বছরের পরিসংখ্যান কিংবা আইসিসি ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে কোহলির অবস্থান দেখলে পাঠকরা খানিক অনুমান করতে পারবেন রোহিত কোহলির চেয়ে কতটা পিছিয়ে। রোহিত মাঠে পারফরম্যান্স যেমনই করুক না কেন কোহলির মত ঠাণ্ডা মাথায় ম্যাচের পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন কতটা এই বাক্যের পেছনে প্রশ্নবোধক চিহ্ন এটে দেয়া যাবে সহজেই। তাছাড়া কোহলির ব্যাটিং দক্ষতার উপর আস্থা বা তাঁর ব্যাটিং সামর্থ্য নিয়েও প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই।
২। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারেন কোহলি
পূর্বে যারা টিম ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ করা কোহলির ব্যাটে চড়ে অসংখ্য ম্যাচে জয়ের হাসি হেসেছে ভারত। শুধু কি তাই? তাঁর এই দক্ষ ব্যাটিং দেখে দলের অন্য ব্যাটসম্যানরাও যে অনুপ্রাণিত হন বেশ ভালোভাবেই।
অন্যদিকে কোহলির উপর যে আস্থা তৈরি হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের রোহিত তা অর্জন করতে পারেননি এখনো। রোহিতের ব্যাটে চড়েও খুব বেশি ম্যাচে জয় পায়নি ভারত।
১। সব ফরম্যাটেই খেলে থাকেন কোহলি
রোহিত ওয়ানডেতে শক্ত হাতে ব্যাট চালালেও টেস্ট দল থেকে রয়েছেন বেশখানিকটা দূরে। এর বিপরীতে কোহলি টেস্ট এবং ওয়ানডেতে রয়েছেন প্রথম স্থানে ও টি-২০তে ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়েও রয়েছেন সন্তোষজনক অবস্থানে। পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে আমরা দেখি যে, এখন পর্যন্ত কোহলি ওয়ানডেতে খেলেছেন ২১১টি ম্যাচ এবং টি-২০তে খেলেছেন ৬২টি ম্যাচ। অন্যদিকে রোহিত শর্মা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেশের জার্সি গায়ে ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলেছেন ১৮৮টি ম্যাচ ও টি-২০ ফরম্যাটে খেলেছেন ৮৪টি ম্যাচ। এদিক থেকে বিবেচনা করলেও রোহিত শর্মার চেয়ে কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন কোহলি।
পরিশেষে যে সরল অঙ্ক মাথায় আসে তা হলো, তিন ফরম্যাটে একই অধিনায়ক থাকলে দলের ভারসাম্য যেমন ঠিক থাকে তেমনি খেলোয়াড়দের মধ্যে একাত্ববোধ থাকার বিশেষ সুবিধাটাও নেয়া যায়।