ক্রিকেট খেলায় উত্তেজনা অনেকগুন বেড়ে যায় যখন ব্যাটসম্যানরা বড় বড় শট মারে। আর এই বড় শটের কারণেই এই মুহূর্তে ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট সংস্করণ টি-২০ ফর্ম্যাট এত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ক্রিকেট বলকে সটান মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়াটা মোটেও সহজ কাজ নয়। এর জন্য দরকার পড়ে প্রচুর পরিমানে স্কিল এবং কব্জির জোর। এই বিশেষ প্রতিবেদনে আমরা এমন দশটি দলের নাম আপনাদের জানাব যারা ক্রিকেট বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মেরেছে।
১০. বাংলাদেশ-(৫৮৬)
ক্রিকেটের দুনিয়ায় খুব তাড়াতাড়ি উন্নতি করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। টাইগার্সরদের খেলা মোট ৩১২টি ম্যাচ তাদের ছয়ের সংখ্যা ৫৮৬। আগামী দিনে এই দেশটি তালিকার ওপরের দিকে উঠে এলে অবশ্যই অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।
৯. জিম্বাবোয়ে-(৯৮৪)
আফ্রিকার এই দেশটি ক্রিকেটের আঙিনায় উন্নতি ও অবনতি দু’টোই দেখেছে। ৯০’র দশকে এই দলটি যে কোন দলকে হারিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখত। এখন অবশ্য তলানিতে এসে ঠেকেছে তাঁদের ক্রিকেট। মোট ৪৭২টি ম্যাচে তাঁদের ছয়ের সংখ্যা ৯৮৪।
৮. ইংল্যান্ড-(১৩১৫)
সম্প্রতি আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৯ জেতা ইংল্যান্ডকে এই তালিকায় আট নম্বরে দেখে অনেকেই অবাক হতে পারেন। ক্রিকেটের জন্মলগ্ন থেকে খেলে চলা দেশটির তালিকার ওপরের দিকেই থাকা উচিত বলে মনে হতেই পারে। তবে ঘটনা হল, ইংল্যান্ড দল ওয়ানডে ম্যাচ বেশ কমই খেলেছে। ৬৬৪টি ওয়ানডে খেলে তাদের ওভারবাউন্ডারির সংখ্যা ১৩১৫।
৭. শ্রীলঙ্কা-(১৩৬৬)
একদিনের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা দল হিসেবে একসময় বিবেচিত হত শ্রীলঙ্কা। বিশ্ব ক্রিকেটের আঙিনায় ‘ক্ষুদে’ নামে প্রথমদিকে ডাকা হলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা হয়ে উঠেছে ক্রিকেটের দানব। এই দেশটাই উপহার দিয়েছে বিখ্যাত সব ক্রিকেটারদের। ৭৬৫টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে শ্রীলঙ্কার ছয়ের সংখ্যা ১৩৬৬।
৬. দক্ষিণ আফ্রিকা-(১৪৭৯)
ক্রিকেট বিশ্বে সবচেয়ে শেষে একদিনের ক্রিকেটে নিজেদের নাম লেখানো দেশটির নাম হল এই দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯৯১ সালে প্রথমবার ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে নামা প্রোটিয়াসদের ছয়ের সংখ্যা ১৪৭৯। তারা খেলেছে মোট ৫৫৫টি একদিনের ম্যাচ।
৫. নিউজিল্যান্ড-(১৯১৮)
একদিনের ক্রিকেটের অন্যতম আক্রমণত্মক দলের নাম হল আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ ২০১৯ এর রানার্সআপ নিউজিল্যান্ড। সবথেকে বেশি ছয় মারার তালিকায় তারা রয়েছে পাঁচ নম্বরে। বড় হিটার তৈরি ক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ডের জুড়ি মেলা ভার। আর টি-২০ ক্রিকেট আসার পর এই দেশটি আরও ভয়ঙ্কর ক্রিকেট খেলছে। মোট ৭০৩টি একদিনের ম্যাচ খেলে তাঁদের ছয়ের সংখ্যা ১৯১৮।
৪. অস্ট্রেলিয়া-(১৯৪৪)
ছয় মারার তালিকায় পাঁচবারের বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়ার প্রথম তিনের মধ্যে না থাকাটা অবশ্যই অবাক করার মতো ব্যাপার। যেভাবে একটা সময় তাঁরা বিশ্ব ক্রিকেটকে শাসন করেছে, তাতে হয়তো অজিদের আরও একটু ওপরে থাকা উচিত ছিল। ৮৭৩টি ওয়ানডে ম্যাচে তাঁদের ছক্কার সংখ্যা ১৯৪৪
৩. পাকিস্তান-(২১৩৬)
শেষ এক দশকে একদিনের ক্রিকেটে পাকিস্তান নিজেদেরকে একটি আক্রমণত্মক এবং শক্তিশালী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আর তাই ছয় মারার ক্ষেত্রে তারা রয়েছে তিন নম্বরে। দলে শাহিদ আফ্রিদির মতো ব্যাটসম্যান থাকলে এটা নিয়ে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। ৮৫৭টি ম্যাচ খেলে পাকিস্তান মোট ২১৩৬টি ওভারবাউন্ডারি মেরেছে।
২. ওয়েস্ট ইন্ডিজ-(২১৬০)
তালিকার দু’নম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দেখে সত্যিই অবাক হওয়ার কিছুই নেই। যে দেশের জার্সি গায়ে ভিভ রিচার্ডস, রিচি রিচার্ডসন, ব্রায়ান লারা, ক্রিস গেইল এবং হাল ফিলহালের অ্যান্দ্রে রাসেলের মতো ক্রিকেটাররা নেমেছেন বা নামছেন, তাদের জন্য এটা কোন ব্যাপারই নয়। মোট ৭৩৬টি ম্যাচ খেলে ক্যারিবিয়ানদের ছয়ের সংখ্যা ২১৬০।
১. ভারত-(২২৫২)
ছয় মারার তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ চিরকালই শক্তিশালী। শচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, মহেন্দ্র সিং ধোনি কিংবা বর্তমানের রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি। বড় শট কিভাবে খেলতে হয় সেটা এদের খেলার ওপর নজর দিলেই বোঝা যায়। মোট ৮৯৭টি ম্যাচে ভারতের ছয়ের সংখ্যা ২২৫২।