ইংল্যান্ড অ্যাণ্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের ১০০ বলের ক্রিকেট ফর্ম্যাট ‘দ্যা হান্ড্রেড’ ২০২০র জুলাই আগস্টে শুরু হতে চলেছে। এই লীগে মোট ৮টি দল অংশ নেবে। এই লীগে প্রত্যেক ইনিংস ১০০ বল পর্যন্ত চলবে আর প্রত্যেক ১০টি বলের পর প্রান্ত বদলে দেওয়া হবে। বোলার লাগাতার পাঁচ বা ১০টি বল করতে পারেন। প্রত্যেক বোলার প্রত্যেক ম্যাচে সর্বোচ্চ ২০টি বল করতে পারেন। এর মধ্যেই খবর আসছে যে প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার এবং প্রাক্তন কোচ টম মুডির নাম এই লীগে কিয়া ওভাল ফ্রেঞ্চাইজি তাদের কোচ হিসেবে বেছেছে। বিভিন্ন দলের হয়ে মুডির কোচিংয়ের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে।
কোচ হিসেবে পেয়েছেন সাফল্য
ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি ক্রিকেট ওয়ার্কশায়ারের ডিরেক্টার হন। পরে তিনি ২০০৫ এ শ্রীলঙ্কার হেড কোচ নিযুক্ত হন। তার কোচিংয়ের শ্রীলঙ্কা দল ২০০৭ বিশ্বকাপে ফাইনালে খেলে এবং অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যায়। এরপর মুডি অস্ট্রেলিয়ার একটি ঘরোয়া দলকে কোচিং দেন। এছাড়াও মুডি ২০০৮ থেকে ২০১০এর মধ্যে আইপিএলে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের কোচের ভূমিকাও পালন করেছেন। এরপর তার ২০১৩ আবারো আইপিএলে প্রত্যাবর্তন হয় যখন সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ তাকে হেড কোচ হিসেবে নিযুক্ত করে। হায়দ্রাবাদে তার ভূমিকা যথেষ্ট সফল ছিল। তিনি সাতটি মরশুমে হায়দ্রাবাদের কোচ ছিলেন আর এর মধ্যে তারা ২০১৬য় আইপিএল খেতাব জেতে এবং ২০১৮র মরশুমে তারা ফাইনালে ওঠে এবং চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হেরে রানার্সআপ হয়।
১০০ বলের লীগে কিয়া ওভালের কোচ হচ্ছেন মুডি
এই বছর হায়দ্রাবাদ প্লে অফে ওঠে কিন্তু এলিমিনেটর ম্যাচে তারা দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে হেরে যায়। এরপরই হায়দ্রাবাদ মুডির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং ২০১৯ বিশ্বকাপের পর তারা ট্রেভর বেলিসকে তাদের কোচ হিসেবে নিযুক্ত করে। এরপরই খবর আসে মুডি দ্রুতই কিয়া ওভালের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন, এই মুহূর্তে মুডি ভারতের কোচ হিসেবেও নিযুক্ত হতে পারেন। কপিলদেবের নেতৃত্বাধী সিএস কমিটি ভারতের কোচ হওয়ার ইন্টারভিউর জন্য যে ৬ জনকে শর্টলিস্টেড করেছে মুডি তাদের মধ্যে অন্যতম।
রবি শাস্ত্রীকে দিতে পারেন টক্কর
মুডি এবং ভারতের বাকি কোচের পদপ্রার্থীরা বর্তমান ভারতীয় কোচ রবি শাস্ত্রীকে কড়া টক্কর দিতে পারেন, এবং প্রাক্তন ভারতীয় অলরাউন্ডার রবি শাস্ত্রী তার চাকরি হারাতে পারেন। প্রসঙ্গত এই নিয়ে চতুর্থবার মুডি ভারতের কোচ হওয়ার জন্য আবেদন করলেন। এর আগে মুডি ২০০৫ এ ভারতীয় কোচ হওয়ার দৌড়ে গ্রেগ চ্যাপেলের কাছে হেরে যান। ২০১৬তেও তিনি আবেদন করেন, কিন্তু সেবারও তাকে হারিয়ে কোচ হন অনিল কুম্বলে। অন্যদিকে ২০১৭তে তাকে হারিয়ে ভারতীয় দলের কোচ হন রবি শাস্ত্রী। ভারতীয় কোচ হওয়ার দৌড়ে মুডি ছাড়াও মাইক হেসন, লালচন্দ রাজপুত, ফিল সিমন্স এবং রবিন সিং এই পদের জন্য রবি শাস্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন। আশা করা হচ্ছে এই ৬ জনের মধ্যে থেকে একজনকে আগামি শুক্রবার ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে।