ক্রিকেট খেলায় আজ বেশকিছু মহান খেলোয়াড় রয়েছেন কিন্তু এর মধ্যে এমন কিছু খেলোয়াড় রয়েছেন যাদের নিজের শৈশবে কড়া সংঘর্ষ করতে হয়েছে আর ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নকে পূর্ণ করেছেন। কিন্তু এটাও সত্যি যে বেশকিছু খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসার পর জীবন একদমই বদলে গিয়েছে।
জিম্বাবোয়ের প্রাক্তন স্পিন বোলার আজও করছেন সাধারণ জীবনযাপন
এমনিতে নিজের দারিদ্র্যের মধ্যে সংঘর্ষ করা এমন কিছু খেলোয়াড় ছিলেন যারা ক্রিকেটার হওয়ার পর আজ কোটি কোটি টাকা রোজগার করছেন কিন্তু কিছু খেলোয়াড় এমনও রয়েছেন যারা সংঘর্ষ করে ক্রিকেটার হয়েছেন আর অবসরের পরও সাধারন জীবনযাপন করছেন। এমনই একজন খেলোয়াড়ের কথা আমরা বলতে চলেছি যিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের দেশের হয়ে একজন বড়ো ক্রিকেটার ছিলেন কিন্তু যজ যথেষ্ট মুশকিলে নিজের জীবন কাটাচ্ছেন। এই খেলোয়াড় হলেন জিম্বাবোয়ের প্রাক্তন স্পিন বোলার রে প্রাইস।
রে প্রাইস আজ চালান একটা সাধারণ দোকান
জিম্বাবোয়ের হয়ে তিন ফর্ম্যাটেই খেলা রে প্রাইস এই মুহূর্তে ভীষণই সংঘর্ষ করছেন। তাকে নিজের পরিবার চালাতে দোকান চালাতে পড়ছে। যাতে তিনি ভীষণই মুশকিলে নিজের পরিবারের ভরণপোষণ করছেন। রে প্রাইস জিম্বাবোয়ের হয়ে ২০০২ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত খেলেছেন। যিনি ২২টি টেস্ট, ১০১টি ওয়ানডে আর ১৬টি টি-২০ খেলেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে রে প্রাইস ২০১৩য় বিদায় জানিয়েছেন। এরপর তিনি টাকা পয়সার অভাবের কারণে পরিবার চালাতে সেখানে একটি ক্রিকেটের জিনিসপত্রের সাধারণ দোকান চালান সেই সঙ্গে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসি ঠিক করার কাজও করছেন।
শুরু থেকেই করেছিলেন সংঘর্ষ, বাবা ছিলেন চৌকিদার
এখন তো রে প্রাইস ভীষণই সংঘর্ষ করছেন তো অন্যদিকে তার শৈশবও একইরকমভাবে দারিদ্র্যের মধ্যে কেটেছে। কারণ তার বাবা ছিলেন একজন চৌকিদার। এই কারণে তারা শুরু থেকেই টাকার জন্য ভীষণই সংঘর্ষ করছেন। পরিবারের সমস্যার সঙ্গেই প্রাইস নিজের শারীরিক সমস্যা নিয়েও চিন্তিত ছিলেন। তিনি ৪ বছর থেকেই শুনতে পেতেন না। যার অপারেশন অবশ্যই হয়েছিল কিন্তু তারপরও তিনি ঠিকমতো শুনতে পারতেন না।
শচীনকে সমস্যায় ফেলা প্রাইস আইপিএলে খেলেছেন শচীনের অধিনায়কত্বে
যদিও প্রাইসের কেরিয়ার শুরুতে ভীষণই ভালো ছিল। ২০০২এ ভারত সফরে তিনি কিংবদন্তী শচিন তেন্ডুলকরকে যথেষ্ট সমস্যায় ফেলেছিলেন। এর মধ্যে তিনি নাগপুরে খেলা হওয়া টেস্ট ম্যাচের দুই ইনিংসেই শচীনকে নিজের শিকার বানিয়েছিলেন তো অন্যদিকে এরপর দিল্লি টেস্টেও তিনি শচীনকে আউট করেছিলেন। শচীন তেন্ডুলকরকে ২টি টেস্টে ৩বার আউট করা রে প্রাইসকে এরপর ২০১১য় শচীন তেন্ডুলকরের নেতৃত্বে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলার সুযোগ দেওয়া হয়। তিনি আইপিএলে মাত্র একটিই ম্যাচ খেলতে পারেন কিন্তু শচীন তেন্ডুলকরের সঙ্গে তার গভীর বন্ধুত্ব রয়েছে।
ভারতের সঙ্গে থেকেছে বিশেষ টান
ভারতের সঙ্গে প্রাইসের গভীর টান রয়েছে। যার মধ্যে একটি স্মরণীয় ঘটনাও তার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। ২০০২তেই দিল্লির চিড়িয়াখানায় ঘোরার সময় সেখানের হাতির দেখভাল করা ব্যক্তি তাকে চিনে ফেলেছিলেন। যিনি প্রাইসকে বলেছিলেন ‘স্যার আমার ছেলেও বাঁহাতি স্পিনার, আপনি তার হিরো”। এই ঘটনার উল্লেখ তিনি একটি ইন্টারভিউ চলাকালীন করে তাকে স্মরণীয় মুহূর্ত বলে অভিহিত করেছিলেন।