সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে পর পর দুই ওয়ানডে ম্যাচে বাজে ভাবে হারার জেরে ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজ হেরে বসেছে ভারতীয় দল। জসপ্রীত বুমরাহ – মহম্মদ শামি – যুজবেন্দ্র চাহাল সমৃদ্ধ ভারতীয় বোলিং লাইন আপের বিরুদ্ধে পর পর দুই ম্যাচেই বড় রান তুলে দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ম্যাচে ৩৭৪ তুললে দ্বিতীয় ম্যাচে সেটিকে টপকে ৩৮৯ রান তুলেছিলেন স্মিথ – ওয়ার্নার – ফিঞ্চরা। এবার ক্যানবেরায় নিয়ম রক্ষার শেষ ম্যাচে কোনওরকমে হোয়াটওয়াশ বাঁচানোর লড়াইয়ে নামবে টিম ইন্ডিয়া।
কিন্তু এই ম্যাচে একটি দীর্ঘকালীন রেকর্ড ভাঙার সুযোগ এসেছে ভারতের তারকা পেসার মহম্মদ শামির কাছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় ওয়ানডেতে যদি মহম্মদ শামি দুটি উইকেট নিতে পারেন, তাহলে ১৮ বছরের দীর্ঘস্থায়ী রেকর্ড ভেঙে দেবেন বাংলার এই পেসার। যদিও এই ম্যাচে দুটি উইকেট নাও নিতে পারেন, তবুও অনেক ম্যাচ রয়েছে শামির কাছে এই রেকর্ড ভাঙার।
কি সেই দীর্ঘস্থায়ী রেকর্ড? ভারতের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্রুততম ১৫০টি উইকেট নেওয়ার রেকর্ড রয়েছে প্রাক্তন ভারতীয় ডান হাতি পেসার অজিত আগরকারের। ২০০২ সালে আগরকার ৯৭টি ম্যাচ খেলে ১৫০ তম উইকেটটি তুলেছিলেন। এবার সেই রেকর্ড ভাঙার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে মহম্মদ শামির কাছে।
এই মুহুর্তে মাত্র ৭৯টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ১৪৮টি উইকেট নিয়েছেন শামি, ফলে ক্যানবেরায় আর দুটি উইকেট নিতে পারলেই ১৫০ উইকেটের মাইলস্টোন অতিক্রম করার পাশাপাশি ১৮ বছরের এই পুরোনো রেকর্ড ভেঙে দিতে পারবেন শামি। যদিও, আগরকারের থেকে এখনও ১৮টি ম্যাচে এগিয়ে রয়েছেন শামি। তবে সমগ্র বিশ্ব ক্রিকেটের রেকর্ড বিচার করলে, ক্যানবেরায় দুটি উইকেট নিতে পারলে তিনি বিশ্বের তৃতীয় দ্রুততম ১৫০ উইকেটের শিকারি হয়ে উঠবেন। এই মুহুর্তে প্রথম দুই স্থানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসার মিচেল স্টার্ক (৭৭ ম্যাচ) এবং পাকিস্তানের কিংবদন্তী লেগ স্পিনার সাকলাইন মুস্তাক (৭৯)।
যদিও এই সিরিজে ভারতীয় বোলাররা বেশ প্রহার খেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা ব্যাটসম্যানদের কাছে, কিন্তু মহম্মদ শামি তাদের মধ্যে সব থেকে সফল হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছেন। অন্যান্য বোলাররা যেখানে সাত থেকে আটের ইকোনমি রেট বজায় রেখেছেন, সেখানে এই সিরিজে শামির ইকোনমি রেট ছয়ের নীচে। তবে কেবল মাত্র তিনটি উইকেট তুলতে পেরেছেন এই দুই ম্যাচে, যদিও খুব বেশি উইকেট পড়েনি অস্ট্রেলিয়ার এই দুই ম্যাচে। সুতরাং ক্যানবেরায় সম্মান বাঁচানোর লড়াইয়ের ভারতের ভরসা হিসেবে থাকবে মহম্মদ শামি, তা বলাই বাহুল্য।