গতকাল মাঠে নামার আগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে ভালো রেকর্ড ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। কিন্তু শারজায় এবি ডিভিলিয়ার্সের দুর্ধর্ষ ব্যাটিং এবং তার জবাবে অত্যন্ত বাজে ব্যাটিং দেখিয়েছিল কলকাতা। একটিও তারকা নিজের নাম ও ক্ষমতা অনুযায়ী খেলতে পারেননি। মাঝের ওভারগুলি বোলিং বেশ ভালো করেছিলেন কমলেশ নাগারকোটি এবং বরুণ চক্রবর্তী। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের রান অনেকটাই কম রাখতে তারা সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু শেষের দিকে ওভারগুলিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের প্রথিতযশা ব্যাটসম্যান এবি ডিভিলিয়ার্সের দুরন্ত ব্যাটিংয়ের সামনে ঝড়ের কুটোর মতো উড়ে যান আন্দ্রে রাসেল, প্যাট কামিন্স এবং প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা।
১৯৫ রান তাড়া করতে গিয়ে যেভাবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্যাটসম্যানরা পরাস্ত হয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বোলিংয়ের কাছে, তা কার্যত অবিশ্বাস্য। শুভমন গিল, দীনেশ কার্তিক, আন্দ্রে রাসেল, ইয়ন মর্গ্যান সমৃদ্ধ এই ব্যাটিং লাইন আপ নাকি নিজেদের পর্যাপ্ত ২০ ওভারে ১২০ রান পর্যন্ত তুলতে পারেনি, এমনকি সেই ব্যাটিংয়ে জোর বাড়াতে দলে এসেছিলেন ইংরেজ ব্যাটসম্যান টম ব্যান্টন। ওয়াশিংটন সুন্দর ও যুজবেন্দ্র চাহালের স্পিনের জাদুতে খেই হারিয়ে ফেলেছিলেন রাসেল-মর্গ্যানরা।
এই ম্যাচের জন্য সমর্থকরা একাধিক ক্রিকেটারদের খারাপ পারফর্মেন্সকে দোষ দিচ্ছেন। তাদের দাবি, নিজেদের ক্ষমতা অনুযায়ী তারা তাদের পারফর্মেন্স দিতে পারছেন না এবং প্রয়োজনের সময় উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসছেন। শারজার মত মাঠে যেখানে অন্যান্য দল হেসেখেলে ১৬০ এর বেশি রান তুলে ফেলছে, ২০০ রানের ইনিংস প্রায়ই দেখা গিয়েছে, সেখানে ১২০ রানও না তুলতে পারার মত রেকর্ড গড়ে ফেলল কলকাতা নাইট রাইডার্স। দেখে নেওয়া যাক, এই ব্যাটিং ব্যর্থতার মূল তিন ভিলেন কারা।
১. আন্দ্রে রাসেল
গত বছরের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের সলতেতে যেন ড্যাম্প পড়ে গিয়েছে বলাই যায়। গত বছরের মত এই বছর আর কোনও বিধ্বংসী ইনিংস খেলতে পারছেন না ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। শুরুতে ঝলক দেখালেও তার কিছু পরেই আউট হয়ে চলে আসেন। গত ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে একই খেল দেখালেন। পাশাপাশি বোলিংয়েও শেষের ওভারগুলিতে এবি ডিভিলিয়ার্সের কাছে খুবই বাজেভাবে মার খেয়েছেন আন্দ্রে রাসেল।
২. প্যাট কামিন্স
১৬ কোটি টাকার এই অসি পেসার আদৌ তার বিশাল অঙ্কের যোগ্য কিনা, সে নিয়ে নিলামের পর থেকে আলোচনা শুরু হয়েছিল। প্রথম ম্যাচে বেধড়ক মার খাওয়ার পর মাঝের ম্যাচগুলিতে বেশ ভালো বোলিং করলেও এবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের কাছে বাজেভাবে মার খান দ্রুতগতির এই পেসার। তিন ওভারে ৩৮ রান দিয়ে আসেন এবং ব্যাট হাতে শুন্য করেন তিনি।
৩. দীনেশ কার্তিক
গত ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত অর্ধশতরান করলেও এই ম্যাচে আবারও ডাহা ফ্লপ নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। যেখানে গত ম্যাচে কার্তিকের থেকে অধিনায়কসুলভ দায়িত্বশীল ইনিংসের প্রয়োজন ছিল, সেখানে যুজবেন্দ্র চাহালের বাইরের বলকে ড্রাইভ মারতে গিয়ে বোল্ড হন। যার জেরে আবারও বোঝা যায় কতটা অফ ফর্মে রয়েছেন তিনি অধিনায়ক হিসেবে, এবং সর্বোপরি একজন খেলোয়াড় হিসেবে।