লকডাউনে খোলাখুলি সামনে এলো এই ভারতীয় খেলোয়াড়দের যন্ত্রণা, বিসিসিআই করে তারকাদের অপমান!

দেশে এই মুহূর্তে করণার সংকটকের কারণে লকডাউন চলছে। ভারতে প্রাণঘাতী রোগ হয়ে ওঠা করোনা ভাইরাসের কারণে এমনিতে তো আলাদা আলাদা অংশ ২৫ মার্চ থেকেই লকডাউন করা হয়েছিল যা এখন নিজের চতুর্থ চরণে পৌঁছে গিয়েছে। যেখানে কিছু কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই লকডাউন চলাকালীন ভারতীয় ক্রিকেট দলের কিছু খেলোয়াড় সোশ্যাল মিডিয়াতেই যুক্ত থেকেছেন।

এই ভারতীয় খেলোয়াড়দের যন্ত্রণা দেখা গেলো

লকডাউনে খোলাখুলি সামনে এলো এই ভারতীয় খেলোয়াড়দের যন্ত্রণা, বিসিসিআই করে তারকাদের অপমান! 1

লকডাউনে মানুষের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া সবচেয়ে সত্যিকারের সঙ্গী প্রমানিত হয়েছে। এই বন্ধ চলাকালীন ভারতীয় দলের বর্তমান, প্রাক্তন আর দলের বাইরে থাকা খেলোয়াড়রা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রচুর কথা বলেছেন। এই কথাবার্তা চলাকালীন ভারতীয় ক্রিকেট দলে নিজের সময়ের আগেই উপেক্ষা করা ভারতীয় খেলোয়াড়রাও বিসিসিআই আর ম্যানেজমেন্টের প্রতি নিজের যন্ত্রণা প্রকাশ করেন। যার মধ্যে আপনাকে সেই পাঁচজন খেলোয়াড়ের ব্যাপারে জানানো যাক যারা দল থেকে বাদ দেওয়ার যন্ত্রণা প্রকাশ করেছেন।

সুরেশ রায়না

লকডাউনে খোলাখুলি সামনে এলো এই ভারতীয় খেলোয়াড়দের যন্ত্রণা, বিসিসিআই করে তারকাদের অপমান! 2

ভারতীয় দলের মিডল অর্ডারের তারকা ব্যাটসম্যান সুরেশ রায়না পরিস্কার ভাষায় জানিয়েছেন যে তার সঙ্গে কখনো নির্বাচকরা দলের সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা বলেননি। সুরেশ রায়না নিজের কথা শেয়ার করে বলেছিলেন যে, “আমি আন্ডার পারফর্ম করেছি আর এটাও বলা হয়েছে যে ওনারা আমার শক্তির ব্যাপারে কথা বলছেন। কিন্তু ওনারা আমার সঙ্গে প্রত্যাবর্তনের কথা বলেননি। যখন আমার সময় আসবে খেলব”।

ইরফান পাঠান

লকডাউনে খোলাখুলি সামনে এলো এই ভারতীয় খেলোয়াড়দের যন্ত্রণা, বিসিসিআই করে তারকাদের অপমান! 3

ভারতীত ক্রিকেট দল থেকে অবসর নেওয়া প্রাক্তন জোরে বোলার ইরফান পাঠানকেও টিম ম্যানেজমেন্ট আর বিসিসিআইয়ের উপর যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করে অনেকটাই আবেগী দেখিয়েছে। তিনি বলেন যে, “২০১২য় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলা হয় আর তার দুর্দান্ত ইনিংসটিই শেষ ইনিংস প্রমানিত হয়। ওই ম্যাচ তার শেষ ম্যাচ ছিল। ৩০ বছর বয়েস তাকে বুড়ো বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। টিম ম্যানেজমেন্ট আর তার মধ্যে ব্যক্তিগত কথাবার্তা হওয়া উচিত ছিল। টিম থেকে বাদ দেওয়ার পর যদি তারা কথাবার্তা বলতেন তো অনেককিছু হতে পারত। ওদের সুরেশ রায়না আর হরভজন সিংয়ের মতো ক্রিকেটাদের সঙ্গেও কথাবার্তা বলা উচিত ছিল। কিন্তু বিষয়টি এটাই যে কে বলবে কথাবার্তা। বিসিসিআই আর নির্বাচকরা ওদের ব্যাপারে কোনো ভাবনা ভেবে নেওয়ার আগে তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলা জরুরী মনে করেননি আর ৩০ বছর বয়েসেই তাকে বুড়ো বানিয়ে দিয়েছেন। যদি ওই ব্যক্তিরা কথাবার্তা বলতেন আর বলতেন যে ইরফান তুমি এক বছর নিজের সেরাটা দেখাও তো তোমাকে দলে জায়গা দেওয়া হতে পারে তো নিশ্চিতভাবেই তিনি নিজের সেরাটা দেখাতেন”।

মহম্মদ কাইফ

লকডাউনে খোলাখুলি সামনে এলো এই ভারতীয় খেলোয়াড়দের যন্ত্রণা, বিসিসিআই করে তারকাদের অপমান! 4

ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন তারকা ফিডার মহম্মদ কাইফ ভারতীয় দলের অন্য খেলোয়াড়দের জন্য কথা বলেছেন। যেখানে তিনি পরিস্কার ভাষায় এটা বলেন যে, “নির্বাচকদের প্রত্যেকটা খেলোয়াড়দের বাদ দেওয়ার আগে কথা বলা উচিত। কাইফ বলেছেন যে প্রত্যেক খেলোয়াড় দেশের হয়ে খেলছেন। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের খারাপ সময় আসে। কিন্তু ম্যানেজমেন্টের কম সে কম তাদের এই ব্যাপারে জানানো উচিত যে তাদের দল থেকে কেনো বাদ দেওয়া হয়ছে। যাতে তারা ঘরোয়া ম্যাচে উন্নত করে প্রত্যাবর্তন করতে পারেন”।

অমিত মিশ্রা

লকডাউনে খোলাখুলি সামনে এলো এই ভারতীয় খেলোয়াড়দের যন্ত্রণা, বিসিসিআই করে তারকাদের অপমান! 5

ভারতীয় ক্রিকেট দলের স্পিনার অমিত মিশ্রাকেও দল থেকে বাদ দেওয়ার পর সুযোগ দেওয়া হয়নি। অমিত মিশ্রা লাইভ চলাকালীন নিজের সুযোগ না পাওয়া নিয়ে বলেন, “প্রত্যেক স্তরে ভালো প্রদর্শন করা সত্ত্বেও তাকে দলের বাইরে রাখা হয়েছে। উনি এখনো নিজেকে প্রশ্ন করেন যে তার সঙ্গে কেনো এমন হয়েছে। কেউ তাকে সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেনি। স্বাভাবিকভাবে চোটের কারণে কোনো খেলোয়াড়কে বাদ দেওয়া হলে তার ফিট হওয়ার পর প্রত্যাবর্তন হয়ে যায়। দেড় বছর পর ঋদ্ধিমান সাহার প্রত্যাবর্তন হয়েছে। কিন্তু তিনি জানেন না যে তার সঙ্গে কেনো এমন হয়েছে। চোট থেকে সুস্থ হওয়ার পর আজ পর্যন্ত নির্বাচকরা আর টিম ম্যানেজমেন্ট তার সঙ্গে কথা বলেনি। ফিট হওয়ার পর তিনিও নির্বাচকদের প্রশ্ন করেছেন কিন্তু কোনো জবাব পাননি”।

মনোজ তেওয়ারি

লকডাউনে খোলাখুলি সামনে এলো এই ভারতীয় খেলোয়াড়দের যন্ত্রণা, বিসিসিআই করে তারকাদের অপমান! 6

ভারতীয় দলের হয়ে খেলা বাংলার অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মনোজ তেওয়ারিও লাইভ চলাকালীন নিজের যন্ত্রণা প্রকাশ করছেন। মনোজ তেওয়ারির অভিযোগ কেবল সেই সময়ের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির বিরুদ্ধেই। তিনি বলেন যে, “এখনো পর্যন্ত তিনি প্রাক্তন অধিনায়ক এমএস ধোনির কাছে প্রশ্ন করেননি যে দলের হয়ে মেডেন সেঞ্চুরি করার পরও তাকে কেনো পরের ম্যাচের প্লেয়িং ইলেভেন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল”।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *